Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিএনপি খেলা শুরু করলে মুজিব কোর্ট পরা কোনো লোক থাকবে না দেশে - গণসমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৯ পিএম | আপডেট : ৬:১৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২২

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘খেলা হবে’ মন্তব্যর প্রেক্ষিতে বিএনপি সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ পুলিশকে রেখে খেলতে নামার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা। আজ শনিবার সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তারা এমন আহ্বান জানান।

বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ওয়াবেদুল কাদের সাহেব কথায় কথায় বলেন খেলা হবে, খেলা হবে। আমরাও বলতে চাই খেলা হবে।’ ওবায়েদুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা পুলিশকে রেখে খেলতে আসেন। দুই ঘন্টাও টিকতে পারবেন না। বিএনপি এখনো খেলা শুরু করেনি। বিএনপি খেলতে শুরু করলে দেশে মুজিব কোর্ট পরা কোন লোক থাকবে না।’

বিএনপির কেন্দ্রেীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, ‘এই সরকারের দিন শেষ। তারা এখন পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু পালাতে দেওয়া হবে না তাদের ’।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী শাম্মি আক্তার বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমরা ঢাকা শহরে আসছি। কোন ধানাইপানাই চলবে না। ক্ষমতা ছাড়েন। না হলে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে টেনে। ’


মহানগর বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, ‘সিলেট থেকে সরকার পতন আন্দোলন শুরু হলো। ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসেই আমরা সরকারের পতন চাই।’

 



 

Show all comments
  • Huda ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৬:২৬ পিএম says : 0
    আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা বিএনপির সকল সর্বসাদারণ/সমর্থক, যার বিস্তিতি সারা বাংলাদেশ- সততা/মমতা দিয়ে সবাইকে দরে রাখবেন।-জনাব তারেক জিয়া/ফখরুল ভাই লক্ষ করুন- সবাই সততা ও সাহসের সাথে এগিয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০/১৯৯১সালের গণআন্দোলনে সাথে চিলাম কাছে থেকে দেখেছি গ্রাম থেকে ঢাকা শহর, বিএনপি’র রাজনীতির মূল শক্তি নীরব সমর্থন এখনও দেখা যাচ্ছে সেই রকম নীরব সমর্থক গোষ্ঠীর একটি বড় অংশ, ১৪/১৫ বছরের বালক থেকে ৮০ বছরের বুড়ো, ছাত্র, কৃষক, ট্রলার, রিক্সা,বেন/ঠেলা গাড়ি চালক, নৌকার মাঝি। কেউ সন্তান, ভাই,স্বামী, পিতা হারিয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, ২/৩ দিন আগে সমাবেশ স্থানে হাজির,সব গ্রাম/পাড়া/মহল্লা থেকে সমাবেশে এসে রাস্তার পাশে, মাঠে বা পার্কে শুয়ে বসে অপেক্ষায় পরিবর্তনের আসায়। এই সমর্থনের কথা মনে রাখতে হবে, শিক্ষিত বেকার এই সরকার ঘরেও থাকতে দিচ্ছে না, কোন স্থানে রিসক্সা চালায়, কেউ দিন মুজরীর কাজে করে, এদের সবার লিস্ট করে রাখুন, সুদিন আসলে বিএনপির উচিত তাদের সহযোগিতা করা, সম্মান করা. এদের ভালোবাসার মূল্য বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই হবে, যাদেরকে গুম করে রেখেছে সরকার, তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে. গুম,খুন,রাজার্ভ চুরি, দুর্নীতি, পিওন থেকে শুরু করে মন্ত্রী পযন্ত জড়িত, সকল জালিমের বিচার জনতার আদালতে করতে হবে। ফেরত প্রবাসীদেরকে বেকার যুবকদেরকে সহজ ব্যাংক লোন দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিয়ে তাদের সম্মান দিতে হবে। সব সমাবেশ শত বাধা অপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ/সমর্থক সমবেত হচ্ছে, নিজ থেকে বিএনপিকে ভালোবাসে, কারো থেকে কোনো কিছুর পাবার আসায় নয়, সবার ভাতের/কর্মের/শান্তির অধিকারের প্রতিষ্ঠার জন্য। আমার ভোট আমি দিবো। জনতার দাবী সফল হোক, আল্লাহ সহায় হবেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি নেতৃবৃন্দ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ