Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রশ্ন : দোয়ার সময় নবী করিম (সা.) কে উছিলা করা প্রসঙ্গে।

আশরাফুল ইসলাম
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:২৯ পিএম

প্রশ্নের বিবরণ : মোনাজাত ও দোয়ার সময় মহানবী সা. এর উছিলা যাবে কি? আমরা বিগত দিনে এভাবে দোয়া করে এসেছি। এখন টিভিতে কিছু আলেম নবীর উছিলা দেওয়াকে হারাম বলছেন। শরীয়ত কি বলে?

উত্তর : যারা দোয়া মোনাজাতে মহানবী সা. এর উছিলা দেওয়া হারাম বলেন, সম্ভবত তারা একটি ভুল আকীদাকে প্রতিহত করার জন্য বলে থাকেন। যা আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে। আমাদের মাঝে নবী করিম সা. এর ওপর দুরুদ ও সালাম পাঠ করা দোয়ার প্রাণ। এক হাদীসে আছে, জনৈক সাহাবী প্রশ্ন করেন, হে নবী আমি কি আমার দোয়ার চারভাগের একভাগ আপনার দুরুদ পড়বো? নবীজি সা. বললেন, পড়তে পারো। সাহাবী বললেন, তিনভাগের একভাগ করবো? নবীজি বললেন, পারো। সাহাবী বললেন, অর্ধেক দুরুদ পড়তে পারবো? নবীজি বললেন, সেটাও পারো। সবশেষে সাহাবী বললেন, আমি কি আমার দোয়ার সবটুকুই শুধু দুরুদ পাঠ করেই সারবো? নবী করিম সা. বললেন, এমন করলেও তোমার দোয়া হয়ে যাবে। আমার দুরুদ পড়ার অর্থ আল্লাহর কাছে তোমাদের সব চাওয়া পাওয়া পৌঁছে যাওয়া। অন্য হাদীসে আছে, সকল ইবাদত প্রথম আকাশে আটকে থাকে। যখন দুরুদ পড়া হয় তখন তা আল্লাহর নিকট পৌঁছে। নবী করিম সা. এর দোহাই দিয়ে দোয়া করার ঘটনা সাহাবীদের জীবনে প্রচুর পাওয়া যায়। তার চেহারা মোবারকের উছিলা দিয়ে সাহাবীরা বৃষ্টি কামনা করেছিলেন। এক অন্ধ সাহাবী নবী করিম সা. এর পবিত্র চেহারা মোবারকে উছিলা দিয়ে দোয়া করে নিজের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পান। একবার মদীনায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে লোকজন হযরত আয়েশা রা. এর কাছে গিয়ে উপায় খুঁজতে থাকে। একসময় খলিফা ওমরও (রা.) সেখানে যান। হযরত আয়েশা তখন বলেন, হে ওমর, আপনি রাসূল সা. এর রওজা পাকের জানালাটি খুলে দিন। আকাশ দেখা যাক। এরপর তার উছিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি কামনা করুন। হযরত ওমর রা. তাই করলেন এবং মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হলো। এটাকে আমরা বলবো, দুরুদের বরকত। যারা ‘হারাম’ বলেন, তারা কোন কাজটিকে হারাম বলেন, কোন উছিলাটিকে হারাম বলেন, কিসের ভিত্তিতে বলেন, তা ভালোভাবে না জেনে আমরা বুঝতে পারবো না। তাদের দাবীর পক্ষেও কোনো যুক্তি থাকতে পারে। তবে আপনারা যেভাবে দুরুদসহ, নবী করিম সা. এর উছিলাসহ দোয়া করতেন, এখনও সেভাবে করতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • Arif Rahman ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৫১ এএম says : 0
    আশরাফ ভাই আপনি তো নিজেও তো কোন হাদিস এর রেফারেন্স দেন নাই,আপনি সৌদি আরবের শায়েখ এর কথা বল্লেন।আমরা বর্তমানে সৌদি সরকারের পালন করা আকীদায় বিশ্বাসী না?
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আশরাফ আলী ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১০:১৩ পিএম says : 0
    জনাবের বর্ণনাতে সহীহ হাদিসের কত নং হাদিস এবং তাহা সহীহ্ কি-না তা স্পষ্ট নয়...!! আমরা সৌদিতে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন শায়খদের কাছ থেকে জেনেছি ; নবী সাঃ যখন ইন্তেকাল হইয়াছেন "ইন্নাকা মাইয়িতুন... " আল্লাহ নাবী সাঃ এর উদ্দেশ্যে এ উক্তিটি করেন...!! অতএব, নবী সাঃ এর অছিলায় কেমন করে চাওয়া যায় বরং এভাবে বললে ভালো হয় যে, হে আল্লাহ তুমি তোমার নাবীকে সাঃ ভালবাস আমারও ভালোবাসি, নাবী সাঃ নেই কিন্তু আপনার এবং আমাদের ভালোবাসাতো বিদ্যমান তাই সেই ভালোবাসার উছিলায় আমাদের এটা ওটা ইত্যাদি পূরণ করে দিন...!! ইয়া রাব্বুল আলামীন...!! ভুলত্রুটী মার্জনীয়...!! আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক অনুধাবন করার তাওফিক দান করুন এবং আজীবন সত্য সন্ধানের ও প্রচারের তাওফিক দান করুন আর ইসলামের খেদমতের জন্য কবুল করুন...!! আমিন, ইয়া রাব্বুল আলামীন।
    Total Reply(1) Reply
    • Mohammed Farooque ১০ অক্টোবর, ২০২২, ১১:০৩ এএম says : 0
      You are right.

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ