Inqilab Logo

শনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮ আশ্বিন ১৪৩০, ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীতে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ৪ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের কারাদন্ড

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৭ পিএম | আপডেট : ৫:৫৪ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২২

১কোটি ৯৭ লাখ ১৬হাজার ৭শত টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এজিএম, সিনিয়র অফিসার, ফুলগাজী শাখার এওজি ক্যাশ-২, প্রধান কার্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারসহ ৫জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামিদের অর্থদ-ও করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এর রায় প্রদান করেন। রায়ের সময় আদালতে ৪ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে রায়ে দ-প্রাপ্ত আসামিদের সাজা দেয়ার পাশাপাশি তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের হিসেব ও আয়ের উৎস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

দ-প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স ডলফিন সী ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সত্ত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন ফারুক, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এ জি এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, এওজি গ্রেড-২ (ক্যাশ) এম এ রহমান, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এবং সংস্থাপন ও প্রকৌশল বিভাগের সুপারিটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদ। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পলাতক আছে দুই আসামি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দ-প্রাপ্ত আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ মাছ রেখে ব্যবসার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুলাই সোনালী ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। পরে মাছ না ক্রয় করে ভুয়া ভাইচারের মাধ্যমে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৪টি চেকে ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করেন। এর বিপরীতে ৫১ হাজার ৪৩৯ কেজি ইলিশ মাছ ক্রয় করে গুদামজাত করার কথা থাকলেও তা না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোস্তাফা কামাল বাদি হয়ে সুধারাম থানায় ৭জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. মশিউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও জানা গেছে, পলাতক আসামি নিজাম উদ্দিন ফারুককে ২৫ বছরের সাজা ও দুই কোটি দুই লাখ টাকা অর্থদ- করা হয়েছে। এছাড়া চার ব্যাংক কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ২৫ বছর করে কারাদ- ও ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। তবে বিভিন্ন ধারায় সাজা যুগপৎ হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর করে কার্যকর হবে।

নোয়াখালী দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দ-প্রাপ্ত তিন আসামিকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ