Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

লক্ষ্মীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ৩:২৯ পিএম

মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নদীতে ভাটা পড়লে পানি কিছুটা নামলেও আবার জোয়ার এলে তা বাড়তে থাকে। অস্বাভাবিক জোয়ারে রামগতি ও কমলনগরে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত দুদিনে নতুন নতুন এলাকা ভাঙনের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদীভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কমলনগরের কালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ ইউনিয়ন এবং রামগতির আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ ও জসিম উদ্দিন জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। নদী তীরবর্তী অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি উঠে গেছে। ইউনিয়নে অনেক ঘের ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে তাদের চুলা তলিয়ে গেছে। এতে রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। শিশুসন্তান ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সহেল বলেন, রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্যা ইউনিয়নের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়খেরী, চরগাজী, চর আলেকজান্ডারসহ কয়েকটি ইউনিয়নে গত তিন/চার দিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। বিকেলের দিকে পানি নেমে পড়ে। আরও কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ জানান, গত তিন/চার দিনে মেঘনার পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়েছে। পূর্ণিমার কারণে নদীতে পানি বাড়ছে। এটি আরও কয়েক দিন থাকবে। ভাটায় লোকালয় থেকে পানি নেমে যায়, জোয়ার এলে আবার ডুবে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ