Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে প্রেমিকার স্বীকারোক্তি

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ৫:৫৯ পিএম | আপডেট : ৬:২৯ পিএম, ২৫ জুন, ২০২২

খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র প্রমিজ নাগের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রেমিকা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরাইয়া ইসলাম মিম আজ শনিবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে তাকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ নাহিদ জানান, খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গার গোবরচাকা এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রমিজ নাগের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে সুরাইয়া ইসলাম মিম এর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন প্রমিজ নাগের চাচাতো ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ। প্রমিজ নাগ খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, একই বিশ্ববিদ্যলায়ের লেখাপড়ার সুবাদে প্রমিজ ও সুরাইয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুরাইয়া প্রায়ই প্রমিজের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে বিয়ে করার জন্য প্রমিজের ওপর চাপ দেয়া শুরু করেন সুরাইয়া। দুজন ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় প্রমিজ তাতে রাজি হননি। এ নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে সুরাইয়া প্রমিজকে নির্যাতন করতেন। শুক্রবার গ্রেফতারের পর আজ মিমকে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সে তার সাথে প্রমিজ নাগের সম্পর্ক ও অবনতির বিষয়ে আদালতকে বিষদ জানিয়েছে।

কেএমপি সোনাডাঙ্গার সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক বলেন, প্রমিজের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঘরে বেশ কিছু স্থানে রক্তের দাগ রয়েছে ও সিসিটিভির ফুটেজে মরদেহ উদ্ধারের আগে ওই ঘর থেকে তার ওই বান্ধবীকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে প্রমিজের বাবা-মাকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে, কেউ একজন তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করছিলেন। তাই পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে আমরা এটি শুধুমাত্র আত্মহত্যা হিসেবে নিতে পারছি না।

প্রমিজের চাচাতো ভাই দীপংকর নাগ জানান, বিভিন্ন সময়ে ওই তরুণী প্রমিজকে উপহার পাঠিয়েছেন। সেগুলোর মূল্য ফেরত চাচ্ছিলেন প্রমিজের কাছ থেকে। প্রমিজ বাড়িতে এসব কথা শেয়ার করে টাকাও চেয়েছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ