পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি চরম বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। গ্রাম, কী শহর- সবই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষ না খেয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে। এমন মানবিক বিপর্যয়ের সময় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব আয়োজন করছে সরকার। তিনি এ উৎসব না করে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জকে ‹দুর্গত অঞ্চল› ঘোষণারও দাবি জানান। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, প্রতিদিন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি চরম বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। গ্রাম, কী শহর- সবই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রেও পানি ঢুকছে। নানা জায়গায় সড়ক ও রেল পথের যোগাযোগসহ বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ দিশেহারা। অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাদ্য সংকট চরমে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আর্তনাদ করছে মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। আশ্রয় কেন্দ্র মানুষ ও পশুতে একাকার। সবচেয়ে বিপদে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। বানভাসি মানুষ দুর্ভোগের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে, পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যার্তরা।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় সরকার, রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক ও বেসরকারি সংগঠনসহ সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে সর্বশক্তি নিয়োগ করে বিপন্ন এবং দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবিক বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ব্যতিরেকে অন্য কোনো কিছু প্রাধান্য পেতে পারে না।
জেএসডি নেতা বলেন, উৎসব ও আনন্দ মিছিল পরিহার করে জনগণের দুর্ভোগ এবং দুর্দশাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এ সংকট মোকাবিলায় সরকারসহ দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।