Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা : ৩০ জন আহত

ঢাবিতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গ্রেফতার ২

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ অন্তত: ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত ছাত্রনেতারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ছাত্রদলের দাবি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, এমনকি শ্লোগানবিহীন একটি মিছিলে ছাত্রলীগ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ বলছে এ হামলা প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ।

জানা যায়, গত রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়ের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখেন। ওই সমাবেশে ছাত্রদল সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় টিএসসিতে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন জুয়েল।

এদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসছে খবর পেয়ে সকাল থেকেই বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় (টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে টিএসসির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর রড, হকিস্টিক, চাপাতি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, মুত্তাসিম বিল্লাহ, সেলিম মাহমুদ, এবিএম এজাজুল কবির জুয়েল, সজীব মজুমদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, ইয়াকুব গাজী রবি, মানসুরা আলম, ইব্রাহিম, জহির রায়হান রুবেল, সুফিয়ান, মিশু, ইডেন কলেজের শিরিন আক্তার, সানজিদা ইয়াসমিন জুলি, তন্নী মালিক, আবু হোরায়রাসহ অন্তত; ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি করেন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।এর মধ্যে আকতার হোসেনের দুই হাত ভেঙে গেছে বলেও জানানো হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলাম। দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের মহড়া দিচ্ছে বলে মিছিলে আমরা কোনো স্লোগান পর্যন্ত দিইনি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলি যে ‘আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছি, আমাদের অপরাধটা কী?
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বিনা উসকানিতে হকিস্টিক, রড, চাপাতি, লাঠিসোঁটাসহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। হামলায় কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ ইকবাল খান, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। রাকিবের দাবি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সরাসরি নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, নারী নেত্রীর ওপর হামলাকারী ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতে পারে না। তাঁরা বহিরাগত সন্ত্রাসী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন রাকিব।

সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ তাদের রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা আবারও ক্যাম্পাসে যাব। আমাদের ক্যাম্পাসে আমরাই থাকব। যত সন্ত্রাসী কার্যক্রমই হোক, আমরা আমাদের কাজ করে যাব, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা থাকতে চাই।

হামলাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বগিরাগত ব্যক্তিরা অংশ নেন বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান বলেন, ছাত্রলীগ হকিস্টিক, চাপাতি, রডসহ দেশি অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ক্যাম্পাসে আসাকে কেন্দ্র করে পয়েন্টে পয়েন্টে ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছিল। শহীদ মিনারের সামনে তাঁরা বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে।

হামলার পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া: শহীদ মিনার এলাকায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার পর দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। হামলার পর এর প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলে ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে পৌঁছালে হলের ভেতর ও আশপাশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কিছুটা পিছু হটেন; কিন্তু এর পরপরই তাঁরা আবার লাঠিসোঁটা হাতে সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তখন পিছু হটেন। তাঁরা শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন দোয়েল চত্বরে। এ সময় দুই পক্ষের মুহুর্মুহু ইট-ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। এসময় আরও অন্তত: ৫-৬ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল আমিন বাবলু। এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর ছাত্রদল ক্যাম্পাস ছাড়লেও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের লাঠিসোঁটা হাতে দেখা গেছে।

হামলা, ধাওয়া পালটা ধাওয়ার বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রদল সন্ত্রাসীবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে ভীতি ছড়াচ্ছে ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থাকবে কি না সেই আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রদল একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এজেন্ডা নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের এই অবস্থানে সমর্থন জানিয়ে তাদের সাথে যোগ দেয়। তিনি বলেন, ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার পায়তারা করছে যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হতে দিবে না।

২জন আটক: ঢাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের দুজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন ছাত্রদল কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, অন্যজন সম্ভবত সাধারণ নাগরিক।

প্রতিক্রিয়া: ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি সাইফ মাহমুদ জুয়েলের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জুয়েল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতাদেরকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে মারধরের হুমকি দিতে শুর করে। মঙ্গলবার দিবালোকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের ওপর যেভাবে হামলা করেছে তা আদিম ও বন্য যুগের কথাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এই ঘটনা প্রমাণিত করে ছাত্রলীগ কখনোই পরমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী নয়। তারা হামলা, জবরদখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্রদের জিম্মির মাধ্যমে ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। অবিলম্বে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ছাত্রদলের আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ইউট্যাব নেতৃদ্বয়।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন স্বৈরাচারী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ক্যাম্পাসগুলোকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে নূন্যতম গণতান্ত্রিক চর্চার পথ রুদ্ধ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ও আজকে ছাত্রদলের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে ছাত্রলীগ।###



 

Show all comments
  • আহমদ ২৫ মে, ২০২২, ১:৪২ এএম says : 0
    বর্তমান ভোটারবিহীন স্বৈরাচারী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ক্যাম্পাসগুলোকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে নূন্যতম গণতান্ত্রিক চর্চার পথ রুদ্ধ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ও আজকে ছাত্রদলের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে ছাত্রলীগ
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ ২৫ মে, ২০২২, ১:৪১ এএম says : 0
    ক্যাম্পাসে এমন হামলা জঘন্য কাজ। এটা কোনো শিক্ষার্থীরা করতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • আলিফ ২৫ মে, ২০২২, ১:৩৫ এএম says : 0
    ছাত্রদল সারাজীবন মার খেলো। অথচ তারা কোনো সময় ছাত্রলীগকে মারতে পারে নাই। তাদের কোনো জোড় নেই। খালি তারা বড় বড় কথা বলতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • আলিফ ২৫ মে, ২০২২, ১:৩৭ এএম says : 0
    আপনাদের ছাত্রলীগ মারছে। তখন আপনারা কি হাতে চুরি পরেছিলেন। আপনারা কেনো তাদের মারতে পারলেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • আনিছ ২৫ মে, ২০২২, ১:৪৪ এএম says : 0
    আবার বিএনপি তাদের দিয়ে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসবে। যাদের ছাত্র সংগঠন নাকি সব সময় অন্যদের দ্বারা মাইর খাই
    Total Reply(0) Reply
  • আনিছ ২৫ মে, ২০২২, ১:৪৯ এএম says : 0
    অন্যায়ের প্রতিবাদ মাইর খেয়ে করে না। আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন আবার মাইর খাবেন এটা করলে কি আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন। আঘাতের বিরুদ্ধে আঘাত না করতে পারলে আপনার জয়ী হতে পারবেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • আনিছ ২৫ মে, ২০২২, ১:৫০ এএম says : 0
    যারাই এ ঘৃণিত কাজ করেছে আমরা এর দৃষ্টান্ত সাজা চাই
    Total Reply(0) Reply
  • আনিছ ২৫ মে, ২০২২, ১:৫৫ এএম says : 0
    মিছিলে হামলা করা এটা তো গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • admin ২৫ মে, ২০২২, ১১:০৮ এএম says : 0
    এখানে উস্কানি দেওয়ার মধ্যে এক নাম্বার দেখা যাচ্ছে হিন্দু ছাত্রদের - এরা উস্কানি দিয়া পিছনে চলে যায় আর ছাত্র নামক অন্য সন্ত্রাসীরা সামনে অগ্রসর হয় ছাত্রদলের উপ হায়নার মত ঝাঁপিয়ে পরে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohmmed Dolilur ২৫ মে, ২০২২, ২:৪৪ এএম says : 0
    মাননীয় মন্ত্রী গতকাল বলেছেন মিটিং মিছিল রাষ্ট্রের জনগনের অধিকার,গণতন্ত্র দেশে কেউ কাউকে বাঁধা প্রধান করতে পারবেনা,সেটি দেশের আইন সম্মত নয়,যদি কেউ অন্নায় ভাবে গাড়ী ভাংচুর করে সে জন্য দেশের সম্পদ রক্ষায় আইন অনুযায়ী বেবসতা করবেন,কিন্তু আইন অনুযায়ী পুলিশ বিজিবি সেনাবাহিনী থাকার কথা,ছাত্র দল যদি সে অনন্যায় করে তারা বেবসতা নিতে পারে,কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় আর কাজে মিল কোথায়,উনি কি ছাত্রলীগ কে পুলিশ এবং বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা প্রধান করেছেন,যে ছাত্রলীগ ছাত্র দলের উপর হামলা করবে,আসলে জনগণ কি এই সমস্ত কিছু দেখেন না কি,ছাত্র দল ছাত্র লীগ সবাই মিছিল করতে পারে,কিন্তু ছাত্র লীগ কে এই ক্ষমতা কে দিয়েছেন ছাত্র দল কে আক্রমন করার ,পুলিশ বাহিনী ও সহস্র বাহিনী কোথায়,ছবিতে আমরা দেখতেছি ছাত্র লীগের ছেলেরা পুলিশ বাহিনী ও সহস্র বাহিনীর কাজ করছে,এতে কি বুঝায় সরকার অক্ষম,এই টি কি একটি সরকারের কাজ হতে পারে,বিষয়টি সরকার বিবেচনা করে দেখলে ভালো হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ