Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নামজারি করতে লাগবে না বাড়তি দলিলপত্র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম


ব্যক্তিগত জমি-জমার নামজারি করতে এখন আর বাড়তি দলিলপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গতকাল রোববার ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকরভাবে স্থাপনে দ্রæততার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভূমি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাÐের মধ্যে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, খতিয়ান বা পর্চা, জরিপ এবং জমির ম্যাপ সম্পর্কিত কাজ করে ভূমি মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ভূমি নিবন্ধন সম্পর্কিত কাজ করে আইন মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নামজারি এবং খতিয়ানের ডাটাবেজ আইন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নিবন্ধন অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, শিগগিরই নামজারির জন্য আধুনিক ফরম চালু করা হবে। এই ফরম চালু হলে আবেদন করার সময় আবেদনে ত্রæটি আছে কিনা তা বোঝা যাবে। এছাড়া কল সেন্টারের মাধ্যমেও নামজারির আবেদন জমা দেওয়া যাবে। জমির যেসব ডকুমেন্ট সরকারের কাছে রক্ষিত আছে তার কপি আর নাগরিককে নামজারি আবেদনের সময় জমা দিতে হবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিবন্ধন (রেজিস্ট্রি দলিল) দলিল মূলেও নামজারি করা হবে। এতে জমি হস্তান্তরে নতুন করে নামজারির প্রয়োজন হবে না। এসব উদ্যোগ পুরোদমে কার্যকর হলে জমির মালিকানা হস্তান্তরের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে নতুন ফরম চালুর কার্যক্রম দ্রæত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মাসেই নতুন ফরম চালু করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে ৬৫ লাখ নামজারি আবেদনের মধ্যে ৫৭ লাখ নিষ্পত্তি হয়েছে।
সেবা সপ্তাহটি আজসোমবার পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশের আটটি বিভাগে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারগণ স্থানীয় গণমাধ্যমের সাথে ভূমি সেবা বিষয়ক মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন করবেন। সারা দেশের ভূমি অফিসগুলো সেবা দেওয়ার জন্য সেবা ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এ ছাড়াও (খতিয়ান/পর্চা) এযাবৎ পাঁচ কোটি ১৩ লাখ খতিয়ান ডিজিটাইজ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় জেলা পর্যায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কানুনগো, সার্ভেয়ার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এবং সেটেলমেন্ট সার্ভেয়ারদের মধ্যে থেকে জেলা ও জোনাল পর্যায়ে নিজ নিজ পদবির ক্যাটাগরিতে সেরা ভূমি কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়ন এবং সার্বিকভাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল হলে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী ও আমূল পরিবর্তন হবে এবং দক্ষ ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ