Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালী সদরের এওজবালিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় হামলায় আহত ৬, ৯৯৯ এ ফোন করে রক্ষা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ৭:২১ পিএম

সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমুল্লা বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আল আমিন ও বেলাল গং এর হামলায় নাসির উদ্দিন ডাক্তার বাড়ির একই পরিবারের ৬ জন আহত হয়েছে।

এসময় বাড়িঘর ভাংচুর, মাইক্রোবাস ভাংচুরসহ স্বর্নালংকার ও নগদ ৫লাখ টাকা লুটপাটের অভিয়োগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ সময় ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে।

আহতরা হলো, গ্রাম ডাক্তার নাসির উদ্দিন (৫৫), স্ত্রী সায়মা আক্তার (৪৫) , তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (১৮), ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫), মেয়ে নাসিমা আক্তার (৩০), ছেলের বউ শিমুলী আক্তার(২২)। আহতদের মধ্যে ডাঃ নাসির ও তার ২ পুত্র নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত নাসিমা আক্তার জানান, গত ৯ মে সোমবার সকাল ১১ টায় ঝড়ের মধ্যে প্রতিপক্ষ বেলালের ছেলেরা আমাদের বাড়ির নারিকেল গাছে উঠে নারিকেল নিয়ে যায়। এ সময় আমার বাবা গ্রাম ডাক্তার নাসির উদ্দিন তাদের বাধা দিলে তারা বাড়ি গিয়ে তাদের বাবা বেলালকে সত্য মিথ্যা বানিয়ে বলে । ছেলে গুলো ন্যাঠা প্রকৃতির প্রায়ই আমাদের গাছের ফলমুল চুরি করে, কখোনো গোপনে আবার কখোনো সবার সামনে জোর করে পেড়ে নিয়ে যায়। ছেলেদের কথা শুনে বেলাল ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড় নিয়ে আমাদের বাড়ির পার্শ্বে এসে আমার বাবাকে মারধর করে চলে যায়। বাবা তাকে প্রতিহত না করে আহত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় বেলাল পাশ্ববর্তী তার আত্বীয় ঢাকাইয়াগো বাড়ির আল আমিন, মামুন ,জুয়েল, দেলেঅয়ার, আবদুল সহিদ সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন দেশিয় ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠিসোঠা, লোহার রড় নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার ভাইদের কুপিয়ে আহত করে এসময় তাদের বাঁচাতে আসলে তারা আমার বাবা নাসির উদ্দিনক সহ অন্যান্যদের পিটিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে। আমার ভাই অন্যের মাইক্রো গাড়ি চালিয়ে সংসার চালায়। তারা বাড়িতে থাকা মাইক্রোবাসটিও ভাংচুর করে। পরে কোন উপায় না দেখে আমরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেলে আমাদের প্রাণ বাঁচে। সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি আমরা সবাই হাসপাতালে থাকায় তারা ঘরের দরজাের তালা ভেঙ্গে ঘরের দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বর্ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, ৯৯৯ এ ফোন আসা মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়েছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

Show all comments
  • Arman ১১ মে, ২০২২, ১২:৫১ এএম says : 0
    সামান্য একটা তুচ্ছ বিষয় আজ কত বড় ঝামেলার সৃষ্টি করলো।ধৈর্যের সাথে সমস্যার মোকাবিলা মানুষ এখন আর করতে পারছে না।নিজের রাগকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। যা মানুষের মধ্যে শুধু ঝামেলায় পাকাতে সক্ষম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ