Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আতা ফল

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৯ এএম

আতা একটি রসালো ফল। এই ফলের ভেতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ। বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশটিকেই খেতে হয়। আতা অ্যানোনেসি পরিবারভুক্ত এক ধরণের যৌগিক ফল। এটি শরিফা ও নোনা নামেও পরিচিত। এইগুলোকে ইংরেজিতে কাস্টার্ড এপল্, সুগার এপল্ বলা হয়। বাংলায় ‘আতা’, ‘শরিফা’, ‘নোনা’ -এই তিনটি নামে ডাকা হয়। তবে অঞ্চলভেদে নামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

আমাদের দেশে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাড়ির আঙিনায় ও বনে-বাগানে আতাফল গাছ জন্মে থাকে। তবে থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ করা হয়। আতাগাছ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের আকার খুব বড় নয়, উচ্চতায় ৩ থেকে ৫ মিটার। শীতকালে এর পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়, ফুল ধরে। পাতার আকৃতি বল্লমের মতো, অগ্রভাগ সরু। এর ফুল দেখতে কাঁঠালী চাঁপার মতো যার রঙ হালকা সবুজ থেকে সবুজাভ হলুদ হয়ে থাকে। বেলে দো-আঁশ মাটিতে আতা গাছ ভাল জন্মে। বীজ থেকে এর চারা করা হয়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ফুল ধরে এবং ৪/৫ মাসের মধ্যে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফল পেকে যায়। আতা ফল হৃৎপিন্ড আকৃতির হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্যোপদান রয়েছে। পাকা আতার শাঁস মিস্টি হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় জিভে চিনির মতো মিহি দানা দানা লাগে। পাকা আতা সুমিষ্ট হওয়ার কারণে অনেক সময়ই পোকার সংক্রমণ হয়, সাদা রঙের পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয় ফল।

আতাফলের আদি নিবাস পূর্ব আমেরিকা। বহু বছর আগে এ ফলটি পূর্ব আমেরিকা থেকে ভারতবর্ষে আসে। এখন পুরো উপমহাদেশে এই ফল দেখা যায়।

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি পরামর্শক সেলিনা বদরুদ্দিন জানান,
আতা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা একটি উন্নতমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকে বার্ধক্য বিলম্বিত করে।
এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

পাকা আতার শাঁস বলকারক, বাত-পিত্তনাশক ও বমনরোধক।
আতা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
এর খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে।

আতাফলের খাদ্যউপাদান এনিমিয়া প্রতিরোধ করে।
আতাগাছের শেকড়ের ছাল আমাশয়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আতাফলের শাঁসের রস রক্তের শক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আলম শামস
কবি ও সাংবাদিক
দৈনিক ইনকিলাব, ঢাকা।
মোবাইল ০১৯১১১৬১৩৪৪।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতা ফল

৮ এপ্রিল, ২০২২
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ