Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি প্রক্রিয়া পতনের দ্বারপ্রান্তে লিবিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ১২:১৪ এএম

লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনভাবেই স্থির হচ্ছে না। শান্তি প্রক্রিয়াকে পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে দেশটির আইন প্রণেতারা। পূর্বাঞ্চলের পার্লামেন্ট সদস্যরা নতুন একটি সরকারের অনুমোদন দিয়েছে। আর বর্তমান প্রশাসন ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলের আইন প্রণেতাদের মনোনীত প্রধানমন্ত্রী ফাথি বাশাঘা পার্লামেন্টে মন্ত্রীসভা প্রস্তাব করেন। মন্ত্রীসভাটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধান আবদুল হামিদ আল-দ্বিবাহ। আল-জাজিরার খবরে জানা যায়, উপস্থিত ১০১ আইন প্রণেতার মধ্যে ৯২ জন প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তব্রুক শহর থেকে পার্লামেন্টের ভোটটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বাশাঘা প্রস্তাবিত মন্ত্রীসভায় তিনজন উপ-প্রধানমন্ত্রী, ২৯ জন মন্ত্রী এবং ছয়জন প্রতিমন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রীসভায় সংস্কৃতি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং নারী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর পদে দুজন নারী সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। তব্রুকভিত্তিক আইন প্রণেতাদের নতুন মন্ত্রীসভা ঘোষণার ফলে লিবিয়ায় দুটি সমান্তরাল প্রশাসন তৈরি হয়েছে। দেশটিতে ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের আইন প্রণেতাদের দ্বন্দ্বে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়ায়। দু’পক্ষই স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং বিদেশী শক্তির মদদপুষ্ট। পূর্বাঞ্চল সমর্থিত অংশের নেতা ফাথি বাশাঘা ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতিসংঘ-সমর্থিত প্রশাসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রাক্তন বিমান বাহিনীর পাইলট এবং ব্যবসায়ী বাশাঘা লিবিয়ার অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। অপরদিকে মিসরাতার একজন শক্তিশালী ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ আল-দ্বিবাহ। গাদ্দাফির সময়ের রাজনীতিবিদ দ্বিবাহ পশ্চিমা-সমর্থিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। রাজনৈতিক সংকট লিবিয়াতে একটি ঐক্যবদ্ধ সরকারের সম্ভাবনা নস্যাৎ করেছে। দ্বিবাহ সরকারের নির্বাচন আয়োজনের ব্যর্থতা থেকে সংকটের শুরু। পরে গত বছরের শেষের দিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন তব্রুকভিত্তিক আইন প্রণেতারা। ১০ ফেব্রুয়ারি নতুন সরকার গঠনের জন্য বাশাঘাকে নিয়োগ দেয় তারা। আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • Mosiur Rahman ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:৪২ এএম says : 0
    লিবিয়ার এই দুর্দশার জন্য আমেরিকা দায়ী।
    Total Reply(0) Reply
  • জোবায়ের খাঁন ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:৪৩ এএম says : 0
    লিবিয়ায় কি আর শান্তি ফিরবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:৪৩ এএম says : 0
    যারাই পশ্চিমা আগ্রাসনের শিকার তারাই আজ অশান্তিতে আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul hamid ৬ মার্চ, ২০২২, ৫:৪৫ এএম says : 0
    ইউক্রেনেও তাই হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ