Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লকারে মিলল শুধু চেক আর চেক

অর্থ পাচার করেছেন ইভ্যালির রাসেল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

কথিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মোহাম্মদ রাসেল অর্থ পাচার করেছেন। এ ধারণা করছেন হাইকোর্ট নির্দেশে গঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গতকাল সোমবার বিকেলে ধানমন্ডির ইভ্যালি প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইভ্যালির যত কাগজ আমরা পর্যালোচনা করেছি, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে থাকতে পারে। তবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তদন্ত করছে। পরে নিশ্চিত হয়ে জানা যাবে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তিনি (রাসেল) ও তার স্ত্রী প্রতি মাসেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতেন। বিশেষ করে দুবাই যেতেন। এসব খতিয়ে দেখছি। গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে আমরা সাধ্যমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এমন নয় যে কালকে চাইলেই আমরা গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে পারব।

এর আগে বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির দু’টি লকার কাটা হয়। তাতে বেশকিছু চেক বই পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এটা তাদের ব্যাবসায়িক পলিসি হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই বিপুল সংখ্যক চেক লকারে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, অনেককেই তারা টাকা ফিরিয়ে দিতে চেক দিয়েছিল। চেকের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তারা নিরাপদ জায়গা হিসেবে লকার বেছে নিয়েছিল। সেজন্যই হয়তো চেকগুলো তারা সেখানে রেখেছিল। প্রধান কার্যালয়ের চারতলা থেকে ২টি ব্যাংকের চেক পাওয়া যায়। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও আমরা পাই। নিচতলায় থাকা আরেকটি লকার থেকে ২৫৩০ টাকা ও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক পাই। অনেক চেকে স্বাক্ষরও রয়েছে। তবে যেসব চেক উদ্ধার করেছি সেসব চেকের কোনোটির ভ্যালিডিটি (বৈধতা) নেই। হাইকোর্ট আগেই এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। চেকগুলো পাওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম মূল্যবান জিনিসপত্র বা টাকাপয়সা থাকতে পারে। এর আগে কমিটির সদস্যরা যখন রাসেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তখনও আভাস পেয়েছিলাম লকারে টাকা থাকতে পারে। কিন্তু লকার কাটার পর নিরাশ হলাম। তিনি আরো বলেন, রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমরা জানতে পেরেছিলাম ভবন মালিকের কাছে ভবনের চাবি রয়েছে। লকার কাটার পর শুধু চেকের পাতা থাকায় আমরা ধারণা করছি বাড়ির মালিক মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়া অনেক খাম স্টেপলার করা ছিল। সেই খামগুলো ছেড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেখানে টাকা ছিল বলে আমাদের ধারণা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ই-কমার্স

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ