মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার ভারতের কোন রাজ্যে কোন কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী সংখ্যালঘু, তা চিহ্নিত করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা হয়েছে, তা নিয়ে অবস্থান ঠিক করে হলফনামা দিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিচারপতি এস এস কাউল এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশকে নিয়ে গড়া বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে। কেন্দ্রকে বলা সত্ত্বেও বারবার এই মামলায় সঠিক অবস্থান নিতে গড়িমসি করছে। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতেও কেন্দ্রের হয়ে সলিসিটর জেনারেল আরো চার সপ্তাহ সময় চান। তখনই বিচারপতিরা এই কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টে হওয়া মামলায় দাবি করা হয়েছে, ৬ রাজ্য এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ‘হিন্দু’দের রক্ষাকর্তার দাবিদার বিজেপি সরকারই এই দাবি নিয়ে গড়িমসি করছে। এই মামলা করেছেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। তিনি ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ অ্যাক্ট-এর ২(সি) ধারা চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছেন, ‘ওই আইনে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং জরাথ্রুষ্টদের সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ অনেক রাজ্যেই হিন্দু, বাহাই এবং ইহুদিরা সংখ্যালঘু, তবু তাদের সেই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি’।
শ্রীউপাধ্যায়ের দাবি, মিজোরামে হিন্দুরা জনসংখ্যার ২.৭৫ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৮.৭৫ শতাংশ, মেঘালয়ে ১১.৫৩ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ২৯ শতাংশ, মণিপুরে ৩১.৩৯ শতাংশ, পাঞ্জাবে ৩৮.১০ শতাংশ এবং জম্মু–কাশ্মিরে ২৮.৪৪ শতাংশ। আর দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জনসংখ্যার মাত্র ২.৫ শতাংশ হিন্দুরা। তবু কেন এই ৬ রাজ্য এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে না?
তার মতে, লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, কাশ্মির, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং মণিপুরে হিন্দুরা প্রকৃতই সংখ্যালঘু। অথচ তাদের সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি নেই। সংবিধানের ২৯ ও ৩০ অনুচ্ছেদে যে অধিকার দেয়া হয়েছে তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে হিন্দুদের।
শ্রী উপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে সংখ্যায় বেশি খ্রিস্টানরা, অথচ তাদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সেইমতো সব সুবিধা ভোগ করছেন তারা। অরুণাচল, গোয়া, কেরল, মণিপুর, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গেও খ্রিস্টানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে পাঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানায় এত শিখ, তবু তাদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। জম্মু–কাশ্মির, লাক্ষাদ্বীপে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, অথচ তাদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, কেরল ও বিহারে মুসলিমরা ভালো সংখ্যায় বাস করেন, তবু তারা সংখ্যালঘুর মর্যাদা এবং সুবিধা ভোগ করছেন। তাহলে ৬ রাজ্যে এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা কেন সংখ্যালঘুর মর্যাদা পাবেন না’?
সূত্র : পুবের কলম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।