পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫০ বছরে বিভিন্ন নদীতে ২ হাজার ৫৭২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২০ হাজার ৫০৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অস্থাবর সম্পদ ধ্বংস হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ কোটি ২০ লাখ টাকার। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে পবাসহ ১৫টি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত নিরাপদ নৌ-চলাচলের জন্য নৌ-অগ্নিকান্ডে মালিকসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নৌযান মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত কর’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের ৮০ ভাগ লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটেছে ত্রুটিপূর্ণ নকশার নৌযান ও অদক্ষ চালকের কারণে। এ পর্যন্ত দেশে ৫৬৫টি বড় ধরনের নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে যেখানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের উপরে। এসব দুর্ঘটনার পর সরকার দুর্ঘটনা এড়াতে এক বা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং কমিটিগুলো দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে কিছু পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রতিবেদনও দাখিল করেছে। ৫৬৫টি নৌ দুর্ঘটনার বিপরীতে ৮৬৩টি তদন্ত কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করে প্রতিবেদন জমা দিলেও সেগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। আবার এগুলোর কোনো সুপারিশও বাস্তবায়ন হয়নি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য তুলনামুলক সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে মানুষ নৌপথকে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহার করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। নৌপথের গুরুত্ব বিবেচনা করে অন্যান্য দেশ যাতায়াত ব্যবস্থাকে আধুনিক ও নিরাপদ করলেও আমাদের দেশে নৌপথের নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আমাদের বিভিন্ন নৌরুটে অসংখ্য যাত্রী ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত করছে এবং প্রায় দুঘর্টনায় শিকার হচ্ছে। অহরহ নৌপথে দুঘর্টনা ঘটছে এবং ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রীদের। শতশত প্রাণ হারালেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরাজ করছে নৌ পরিবহন ব্যবস্থাপনায়। নিরাপদ নৌ পথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো.আবদুস সোবহান, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষাকারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিশ কুমার দে, মানবাধিকার সংরক্ষণ ফোরামের মহাসচিব মাহবুল হক, মৃত্তিকার সভাপতি খাদিজা খানম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।