Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বাগেরহাটে টানা বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন, বেড়েছে শীত

দুবলায় ২ কোটি টাকার শুটকির ক্ষতি

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৫৭ পিএম | আপডেট : ৬:০১ পিএম, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত তিন দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। শনিবার থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি হলেও রোববার দুপুর থেকে অবিরাম বৃস্টি হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। হিমেল হাওয়ার সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিপাকে রয়েছে দিনমজুর ও নি¤œ আয়ের মানুষরা। জেলার কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এদিকে সুন্দরবনের দুবলার চরে বৃষ্টিতে ২ কোটি টাকার শুটকির ক্ষতি হয়েছে।
শনিবারই শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’। রবিবার সকালে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়। জাওয়াদ সোমবার সকালে ভারতের উড়িষ্যায় উপকুল দিয়ে উত্তরে সরলেও এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে। জাওয়াদের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন ন¤॥^র সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল তৈরি হওয়া বৈরি আবহাওয়া সোমবারও সূর্যের দেখা মেলেনি। রোববার দুপুর থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে জীবন-যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। শীত ও বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বাগেরহাট শহরের রিক্সা চালক ফরহাদ খান জানান, শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টিতে তাদের রোজগার একেবারেই কমে গেছে। সারাদিনে তেমন কোন আয় হয়নি।
উপকূলীয় উপজেলা রামপালের লিপন হোসেন জানান, একাধারে বৃস্টিতে মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। একদিকে টানা বৃষ্টি অপর দিকে শীতের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, জেলায় এবছর ৭৪ হাজার ৪শ ৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। তাছাড়া ২ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমের বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে। এই মুহুর্তে মাঠে অনেক সব্জিও রয়েছে। তবে ঝড়ো হাওয়া না থাকায় এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়-ক্ষতি দেখা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
বাগেরহাট জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, শনিবার বিকেলে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমুদ্রের থাকা মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুকনা খাবার ও চাল মজুদ রয়েছে।
বাগেরহাট পনি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিকাশ সরকার জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাধে এর কোন প্রভাব পড়েনি।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ( ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, টানা বর্ষনে ও সাগরের পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুটকি মাছের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, এই ক্ষতির পরিমান প্রায় দুই কোটি টাকা বলে তিনি জানান।##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাগেরহাট

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ