বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি সম্বলিত আইনজীবীদের স্মারকলিপি পর্যালোচনা করে দেখবে সরকার। এ আশ্বাস দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি দল স্মারকলিপি দেন। আইনমন্ত্রী স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। পরে তিনি জানান, স্মারকলিপি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত ও মতামতের জন্য আলোচনা ও সময়ের প্রয়োজন। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন কিন্তু ওনার পরিবারের যে আবেদন, সেটা মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোপনভ দাবি তুলতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই করেছেন। সে ক্ষেত্রে মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানবিকতা দেখাতে জানেন।

আইনমন্ত্রী বিএনপি’র আইনজীবী নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৪০১ ধারার আলোচনায় আমি এখন যেতে চাই না। আমাদের স্বাভাবিক আইনে মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সঙ্গে আইনের বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। আপনারা যে ৪০১ ধারা, উপ-ধারার কথা বলেছেন, সেখানে আপনারা বলেছেন, কোথাও বিদেশ যাওয়া যাবে না, কথাটি বলা নেই। সেখানে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বলা না থাকলেও একটা কথা বলা আছে। সেটা হলো, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত। সেখানে দু’টি শর্ত দেয়া হয়েছে। আমি সে আইনের দিকে যাব না। আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, সেটা আমি অবশ্যই পর্যালোচনা করব। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা আমরা করব।

স্মারকলিপি প্রদানকারী আইনজীবীদের দলের মধ্যে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খান, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, তৈমূর আলম খন্দকার, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন জানিয়ে তাকে চিকিৎসার্থে বিদেশ পাঠানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি।