Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা চাপে ফেলছে ন্যাটোকে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২১, ১:১৩ পিএম

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি চিন্তায় ফেলছে জার্মানিসহ ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রদের। ২০১৪ সালের পরিস্থিতি ফিরে আসবে কি না, সে আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। সোমবার ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ইয়েনস স্টোলটেনবের্গ ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক উপস্থিতি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদি কিয়েভের ওপর কোনো আঘাত আসে, সেক্ষেত্রে ন্যাটো ইউক্রেনের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডিমিত্রো কুলেবার সাথে সাক্ষাতের পর স্টোলটেনবের্গ বলেন, ‘‘ন্যাটো এই মুহূর্তে সতর্ক রয়েছে। আমরা খুব গভীরভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। যদি রাশিয়ার তরফে কোনো উসকানি বা আগ্রাসী পদক্ষেপ দেখা যায়, সেক্ষেত্রে তা গুরুতর ফলাফল বয়ে আনবে। আমরা রাশিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে আরো স্বচ্ছ হতে।''

ইউক্রেনের বয়ান অনুযায়ী, রাশিয়ার সাথে দেশটির সীমান্তে বর্তমানে মোতায়েন আছে প্রায় এক লাখ রুশ সামরিক বাহিনীর সদস্য, যা ‘বিপজ্জনক' দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্টোলটেনবের্গ। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক হারে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে সেখানে। আমরা জানি যে, রাশিয়া এর আগেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই ধরনের আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ নিতে চেয়েছে।''

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর দেশটির পক্ষে তাদের অবস্থান ঘোষণা করে জার্মান ও ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ফ্রান্স ও জার্মানি তাদের সমর্থন অক্ষুণ্ণ রাখবে।'' পাশাপাশি, রাশিয়াকে তার সামরিক আচরণে রাশ টানতেও বলে এই বিবৃতি।

সোমবার জার্মান পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিস্টোফার বুর্গার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যে পরিস্থিতি ইতোমধ্যে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, তাকে আরো গুরুতর না করতে রাশিয়াকে সামরিক নিয়ন্ত্রণ দেখাতে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।'' ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্রও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির ধারণা, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সাম্প্রতিক এই সামরিক অভিযানের ফলে। নতুন করে ইউক্রেনের মাটিতে রুশ সেনার প্রবেশ ঘটতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। সূত্র: এএফপি, এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ