গোদাগাড়ীর যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ৩৩ জন আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় একজনের ১০ বছরের কারাদন্ড, চারজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ১৫ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।

রায়ের বিয়ষটি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, এজাহারে আসামি ছিল ২২ জন। পরে তদন্ত শেষে আসামি হয় ৩৫ জন। মমালার রায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ১৫ জনকে এক করে মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই মামলায় ৩২ জন স্বাক্ষী ছিল। এর মধ্যে ২২জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ইসমাইল দেওপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেদিন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালপুর ভোট কেন্দ্র দখলে নিতে গেলে বাধা দিতে যান ইসমাইল। এ সময় তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।