মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পেরুর নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশটির জন্য নতুন সংবিধান তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত এবং অস্থিতিশীল পেরুর শাসক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তৃতায় কাস্তিলো অর্থনীতিতে ‘দায়িত্বশীল পরিবর্তন’ এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার জন্য আরো অর্থ বরাদ্দেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলার হুগো শ্যাভেজ এবং বলিভিয়ার ইভো মোরালেসের মতো বামপন্থী প্রেসিডেন্টদের অনুসরণ করে একটি নতুন সংবিধান তৈরির জন্য একটি সংবিধান সমাবেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন কাস্তিলো এবং এর জন্য স্পষ্টভাবে বৃহত্তর জনসমাবেশ এবং কঠিন আলোচনার প্রয়োজন হবে। এতে পেরুর রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার কোন গ্যারান্টি নেই। তবে যদি তা ফলপ্রসূ হয়, দেশটি যে অস্তিত্ব সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে তা সমাধান করার অন্তত একটি সুযোগ থাকবে, যা দেশটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যাবে।
পেরুর উত্তর আন্দিজের একজন কৃষক, স্কুল শিক্ষক এবং ইউনিয়ন নেতা কাস্তিলো দেশের এমন একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় এবং পেরুর বাকি সব প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বামপন্থী, কম অভিজ্ঞ এবং গেল এপ্রিলের নির্বাচনের প্রথম দফায় মোট ভোটের মাত্র ১৫ শতাংশ জিতেছিলেন। পরে জুনের নির্বাচনে তিনি সীমিত ব্যবধানে জয়লাভ করেন। কঠিন এক পরিস্থিতিতে পেরুর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কাস্তিলো। মহামারিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটি অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় জনসংখ্যার অংশ হিসাবে রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যু অবলোকন করেছে, দেশটির দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, গত বছর পেরুর অর্থনীতি ১১ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে, সরকারী হিসাবে দারিদ্র্যের হার ২০ শতংশ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে। এসবই কাস্তিলোর বিজয়ের মূল কারণ।
তবে, কার্যকরভাবে পেরুকে শাসন করার জন্য বামপস্থী কাস্তিলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কাস্তিলোরার প্রধান সম্পদ হল তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সততা ও স্বচ্ছতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে তার ভাবমর্যাদা, যা এ মুহূর্তে পেরুর জন্য অতি প্রয়োজন। দেশটির এক প্রাক্তন মন্ত্রী কাস্তিলোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ‘যদি তিনি এক বছর টিকে থাকেন, তবে সম্ভবত পাঁচ বছরও টিকতে পারবেন’ এবং তার মেয়াদ শেষ করতে পারবেন।
কাস্তিলোর নেতৃত্ব পেরুর জন্য কী বয়ে আনবে, তা নির্ভর করবে আগামীতে তিনি যেসব পদক্ষেপ নেবেন, সেসবের ওপর। পেরুর বিভক্ত অঞ্চল কস্তা এবং সেরার পুরো প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু দীর্ঘকালের রক্ষণশীল পেরুর আবহে পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই একটি সম্পূর্ণ বামপন্থী সরকারের বিরল সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট, কেএসইউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।