Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে তালেবানদের সাথে আলোচনা করবে তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২১, ৯:২০ পিএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেছেন, তার দেশ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমানবন্দর পরিচালনা ও সুরক্ষিত করার জন্য তুরস্কের আগ্রহ সম্পর্কে তালেবানদের সাথে কথা বলবে।

উত্তর সাইপ্রাসে ঈদের নামাজের পরে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য তুরস্কের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি কিছুটা ‌‌'অসন্তুষ্টি' প্রকাশ করেছে। তুর্কি সেনাদের কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব থাকা নিয়ে তালেবানের সাম্প্রতিক বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে এরদোগান জানান, এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি নিজে কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তালেবানের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে আঙ্কারা এক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং কাবুল প্রশাসনসহ অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক কিন্তু এখনও কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে নি।

তবে এ নিয়ে তালেবান গত সপ্তাহে হুশিয়ারি দিয়ে জানায়, তুরস্ক ন্যাটোর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে ঢুকেছে এবং ন্যাটোর সঙ্গে বের হয়ে যেতে হবে। না হলে তুরস্ক দখলদারি হিসেবে গণ্য হবে এবং তুর্কি সেনাদের বিরুদ্ধে তালিবান জিহাদ চালিয়ে যাবে। তালেবান অবশ্য জানায় যে তুরস্কের আফগানিস্তানে থাকতে হলে সঙ্গে তালেবানের সঙ্গে নতুন কোন চুক্তি করার মাধ্যমে সম্ভব হতে পারে।

এরদোগান বলেন যে তালেবানদের দেয়া বিবৃতিতে "আমরা তুরস্ক চাই না" বলে কোনও উদ্ধৃতি নেই। তিনি বলেন, কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে তুর্কি প্রশাসনের পজিশন কী তালেবান তা খুব ভাল করেই জানে। "কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সময়, তুর্কি প্রশাসন হিসাবে আমরা কিছু পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়েছি এবং এই পরিকল্পনাগুলির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য কাজ করছি।" কিন্তু সে পরিকল্পনাগুলো কী বা কোনো ধরনের পরিকল্পনা তা তিনি বিস্তারিত জানাননি।

এরদোগান বলেন, এখন পর্যন্ত, আমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। তালেবানের সঙ্গে খুব শীঘ্রই একটা বৈঠক হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ তালেবানদের সঙ্গে আমরা কী ধরনের আলোচনা করবো এবং এই আলোচনা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে (কোন ধরনের ফলাফলে পৌঁছব) তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টায় অব্যাহত আছে।’ তিনি অবশ্য আফগানিস্তানে তালেবানের ‘দখলদারি নীতির’ সমালোচনা করেন। সূত্র: এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ