বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনবাগে উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে সড়কের ইট তুলে নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাইফুল ইসলাম মজুমদার স্বক্ষরিক স্বারক নং ০০.৪২.৭৫৮০.০০০.০৬..০১৬.২০ সেনবাগ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানষ মন্ডলকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ঠ এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এতে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক নোয়াখালী, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার নোয়াখালীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর সেনবাগের ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূইয়া উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে এলজিএসপি-৩ অর্থয়ানে ৩লক্ষ টাকা ব্যায়ে কল্যান্দী হাইস্কুল-শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির সড়ক থেকে সুবল সাহার বাড়ির দরজায় ৬২০ ফুট ইটের ফ্লাট সলিংয়ের কাজ শুরু করে। সড়কটির এক তৃতীয়াংশ কাজ করে বাড়ীর বাসিন্দাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি ওই বাড়ির বাসিন্দা জনি গণমাধ্যমেকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে ওই সড়কের ইটের সলিংয়ের জন্য বসানো প্রায় ১২০ফুট এজিন তুলে নিয়ে যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ , উপজেলা পরিষদ থেকে এলজিএসপি-৩ অর্থায়ানে ৩লাখ টাকা ব্যায়ে তাদের বাড়ির দরজার ৬২০ ফুট রাস্তার সলিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি স¦য়ং ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া শুরু করেন। সড়কটি ১নং ইট দিয়ে করার কথা থাকলেও তিনি করছেন ২নং ইট দিয়ে। এছাড়াও সড়কটির এক তৃতীয়ংশ কাজ করে অবশিষ্ঠ অংশের কাজ বন্ধ করে দিয়ে চেয়ারম্যান তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করে তাদের বাড়িতে -দোকানে লোক পাঠিয়ে ও নিজে মোবাইল ফোনে টাকা দিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। তার দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ও ওই অনিয়মের সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ওই সড়কের প্রায় ১২০ ফুট এজিনের ইট তুলে নিয়ে যান। খোঁজনিয়ে জানাগেছে ওই সড়কটির কল্যান্দী হাইস্কুল-শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির সড়ক থেকে মুখ থেকে সুবল সাহার বাড়ির দরজা পর্যন্ত ফ্লাট সলিং করার কথা । কিন্তু চেয়ারম্যান সড়কটির কাজ শুরু করেছেন সুবল সাহার বাড়ির দরজা থেকে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটি ৬ফুট চওড়া হওয়ার কথা ছিলো তিনি ৭ফুট চওড়া করছেন। ওই জন্য বাড়ির লোকজন অবশিষ্ট বাড়তি অংশের জন্য তাকে ৫০হাজার টাকা দিবেন বলেছেন। ওই টাকা না দেওয়ায় তিনি বাড়তি অংশের ইট তুলে নিয়ে গেছেন বলে দাবী করেন। সড়কটি কল্যান্দী হাইস্কুল-শাহাজীরহাট দুর্গা মন্দির সড়ক থেকে মুখ থেকে করার কথা ছিলো এতে তিনি বলেন উপজেলা থেকে তাকে যে ভাবে কাজ করতে বলেছেন তিনি সেই ভাবে করেছেন।
এ বিষয়ে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে দেখেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এক সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।