মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লিতে করোনাকালীন লকডাউনের মধ্যে দেশি এবং বিদেশি মদ হোম ডেলিভারি করার অনুমতি দিল সরকার। মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে রাজধানীবাসী মদের অর্ডার দিতে পারবেন। সেখানকার আবগারি দফতরের নির্দেশ মেনে লাইসেন্সধারীরা করতে পারবেন মদের হোম ডেলিভারি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রোধ করতে ১৯ এপ্রিল লকডাউন জারি করে দিল্লি সরকার। তখন থেকেই সেখানে বন্ধ ছিল মদের দোকান। এরপর বেশ কয়েকবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে শহরটির সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সেখানে দৈনিক সংক্রমণ নেমেছে ১ হাজারের নীচে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের কড়াকড়িও কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। সেই শিথিলতার অংশ হিসাবেই অনলাইনে মদ ডেলিভারির অনুমতি দিল কেজরিওয়াল। দিল্লি আবগারি বিধি- ২০২১ অনুসারে এই অনলাইন ডেলিভারি চালু করা হয়েছে। সেই নিয়ম অনুসারে, কেবলমাত্র এল-১৩ লাইসেন্সধারীরা বাড়িতে মদের ডেলিভারি দিতে পারবেন। এই অর্ডার অবশ্যই ইমেইল বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে দিতে হবে। ফোনে বুকিং করা যাবে না। সব মদের দোকানও এই ডেলিভারি করতে পারবে না বলে জানা গিয়েছে। যে মদ বিক্রেতাদের এল-১৪ লাইসেন্স রয়েছে কেবল তারাই হোম ডেলিভারি দিতে পারবেন। ভারতের বিভিন্ন শহরে লকডাউনের বিধিনিষেধের সময় অনলাইনে মদ ডেলিভারি হয়েছে। সেই তালিকায় এবার রাজধানী দিল্লি যুক্ত হলো। অপরদিকে, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটিতে এ নিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে তৃতীয় মৃত্যু হলো। করোনা পজিটিভ অবস্থাতেই এই ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ে কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর ৪৭ বয়সী ওই রোগী। রোববার মারা যান তিনি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে বাঁকুড়া মেডিকেলে বর্তমানে আরও সাত জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে তিন-চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকায়। করোনা নিয়েই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন বাঁকুড়া মেডিকেলে। কোভিড থাকায় ঝুঁকি নিয়েই গত সপ্তাহে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেছিলেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, বেশ বড় ছিল সেই অপারেশন। কালো ছত্রাকের থাবায় পচন ধরে যাওয়ায় রোগীর বাম চোখ-সহ মুখের বেশ খানিকটা অংশ কেটে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। তারপরের কয়দিন ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেয়া হয়েছিল রোগীকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। রোববার শেষ হয় তার লড়াই। সংক্রমণ ব্রেনে চলে গিয়েছিল বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। রোগীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বাঁকুড়া মেডিকেলের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে এই অসুখে মৃত্যুহার বেশি। তা সত্ত্বেও রোগীদের সুস্থ করে তুলতে আমাদের অভিজ্ঞ চিকিৎসক টিম আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছেন।’ এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।