Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের টিকা আনার চুক্তি শেষ পর্যায়ে : সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চীন থেকে করোনাভাইরাসের সিনোভ্যাক টিকা আনার চুক্তি প্রায় শেষপর্যায়ে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান।

ভারতের করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের করোনা টিকা নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল সেটার বাইরে ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে ১৫ লাখ চাইলেও তাদের রাজি করানো যায়নি। অক্সফোর্ডের টিকা পেতে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল সেটার সর্বশেষ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনার জন্য যে চিঠি দিয়েছিলাম সে বিষয়ে এখনো জবাব পাইনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ যেন শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা পায় এ জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ড. মোমেন অনুরোধ করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদাসহ বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছেন। ড. মোমেন বলেন, ভারত যেহেতু সময় মতো টিকা দিতে পারেনি, সে জন্য বাংলাদেশকে অতি শিগগিরই টিকা প্রদানের জন্য তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে পারেন বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে এবং এই পরিস্থিতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, এটি অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজ করা উচিত ছিল। গুটি কতক লোকের জন্য এই বদনামটা হচ্ছে এবং আমি জানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের এটি ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংবাদ মাধ্যম দেশের জন্য বিরাট কাজ করছে। তাদের কারণে আমরা বালিশ কান্ড শুনেছি, আপনাদের কারণে আমরা লাখ টাকার সুপারি গাছের কথা শুনেছি, আপনাদের কারণে সেই শাহেদ করিমের (রিজেন্ট ডায়াগনোস্টিক সেন্টার) তথ্য পেয়েছি। সরকার প্রতিটা ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব করে গণমাধ্যম কর্মীরা সরকারকে খুব সাহায্য করছেন। কিন্তু ঘটনাটি দুঃখজনক। কারণ শেখ হাসিনার সরকার সংবাদ-বান্ধব সরকার। আমরা এ ধরনের ঘটনা চাই না।

এদিকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীনের সিনোফার্ম থেকে করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগতভাবে চীনের সিনোফার্ম থেকে করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, করোনাকালে জরুরি কেনাকাটায় প্রস্তুতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘাটতি রয়েছে।

এ ছাড়া গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর এবার দেশে আসছে ফাইজারের করোনার টিকা। আগামী ২ জুন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ফাইজারের অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ডোজ করোনার টিকা বাংলাদেশে আসছে।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ