মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনায় ভারতের এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মানবিক বিপর্যয় ঘটছে সেখানে। হাসপাতালগুলোতে পড়ে আছে লাশ আর লাশ। ঘটছে সব অমানবিক ঘটনা। হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স- স্টাফরা লাশ ফেলে পালিয়ে যাবার মত ঘটনাও ঘটছে।
জানা যায়, ভারতের গুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতালের আইসিইউ। বাইরে থেকে তালা দেয়া। ভিতরে করোনায় আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগী। তাদের স্বজনরা সেখানে গিয়ে দেখলেন বাইরে থেকে তালা দেয়া। হাসপাতালে কোনো স্টাফ, কর্মকর্তা, কর্মচারি কিছুই নেই। চারদিক সুনশান নীরবতা। এ অবস্থায় তারা একটি আইসিইউতে প্রবেশ করেন। দেখেন বেডে বেডে মরে পড়ে আছেন রোগী।
গা শিউরে উঠা এমন দৃশ্য দেখে আকাশ বিদীর্ণ করে চিৎকার করলেন তারা। কেউ এগিয়ে এলো না। তারা দেখলেন আইসিইউ বেডে রোগীদের ওপর ফোকাস করে রাখা ক্যামেরা। একজন রোগীর মৃতদেহ পড়ে আছে মেঝেতে। না, এটা কোনো হরর ছবির দৃশ্য নয়। একেবারে গা শিউরে উঠার মতো সত্য ঘটনা।
এমনভাবেই ভারতকে গ্রাস করেছে করোনা ভাইরাস। এই দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গুরগাঁওয়ে অবস্থিত কৃতী হাসপাতালে এ ঘটনার সূত্রপাত। সেখানে শুক্রবার রাতে করোনায় মারা যান কমপক্ষে ৬ রোগী। এদিনই ওই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, অক্সিজেন সঙ্কটের কারণে মারা গিয়েছেন এসব রোগী। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন আইসিইউতে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রোগীদের আত্মীয়রা হাসপাতালে প্রবেশ করে দেখেন ভিতরে ফাঁকা। কোথোও কোনো ডাক্তার নেই। স্টাফ নেই। টেবিলগুলো পড়ে আছে শূন্য। এ অবস্থায় তারা এক ওয়ার্ড থেকে আরেক ওয়ার্ডে দৌড়াতে থাকেন উন্মাদের মতো। কিন্তু না, কোনো সাহায্য পেলেন না। কে সাহায্য করবে? পুরো হাসপাতালের ডাক্তার, স্টাফ, নার্সরা তো এ অবস্থায় হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন। ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, কোনো ডাক্তার নেই হাসপাতালে। কোনো কেমিস্ট নেই। রিসেপশনে কেউ নেই।
ভিডিওতে দেখা যায়, এসব রোগীর পরিবারের সদস্যরা নার্স স্টেশনের ভিতর দিয়ে, ওয়ার্ডে এবং কেবিনে ডাক্তার, নার্স, স্টাফদের খুঁজে হন্যে হচ্ছেন। খবর যায় পুলিশে। তারা পুলিশের সঙ্গে যুক্তিতর্কে লিপ্ত হন। জানতে চান কিভাবে রোগীদের এভাবে ফেলে রেখে, তাদেরকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে চিকিৎসকরা পালিয়ে যেতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।