Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জনশক্তি রফতানির দ্বার উন্মুক্ত হয়নি মালয়েশিয়া শ্রমবাজার--

সীমিত সংখ্যক এজেন্সি’র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৫১ পিএম

সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। ফলে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ এর মাঝে সম্পাদিত জি টু জি প্লাস চুক্তির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হলেও দেশটিতে জনশক্তি রফতানির দ্বার উন্মোচিত হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই উভয় দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈধ মুলতবী হয়ে গেছে। আজ উভয় দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ তার দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এসময়ে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.আহমদ মনিরুছ সালেহীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৬ ফেব্রæয়ারি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করতে দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রæপের মাঝে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছিল। দেশটি শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ সর্ম্পকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই দু’দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠক মুলতবী করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়া মানব সম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা স্ব স্ব দেশ থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত চুক্তি জি টু জি প্লাস এর মেয়াদ আজ শেষ হয়ে গেলে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী উল্লেখিত চুক্তির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়াতে সম্মত হন।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল হাসান বাদল ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, দশ সিন্ডিকেটের অনৈতিক কর্মকান্ডের দরুন মালয়েশিয়ার তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী মহাথির মোহাম্মদ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়া বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে কর্মী প্রেরণের বিষয়টি নিয়ে দুদেশের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কর্মী প্রেরণের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক ফলাফল আসেনি। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কোনো সিন্ডিকেটের হাতে যাতে তুলে দেয়া না হয় এবং সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়ার দাবিতে বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোটের আহবায়ক ও বায়রার সাবেক সভাপতি আলহাজ আবুল বাসারের নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনে শ্রমবাজারের সিন্ডিকেট বন্ধের দাবিতে গণভাবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছিলেন। বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোটের সদস্য সচিব ও রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান আজ বুধবার বলেন, বিগত দিনে জি টু জি প্লাসের প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত দশ সিন্ডিকেট স্বল্প অভিবাসনের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তিন লাখ টাকা থেকে চার লাখ টাকায় কর্মী পাঠিয়ে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর রুটি-রুজি কেড়ে নিয়েছে দশ সিন্ডিকেট চক্র। আজ উভয় দেশের ভার্চুয়াল বৈঠকে সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির প্রত্যাখ্যান করায় তিনি বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৩টি সেন্ডিং কান্ট্রি যে প্রক্রিয়ায় দেশটিতে কর্মী পাঠায় সে প্রক্রিয়াই আগামীতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জনশক্তি রফতানি

১৫ জানুয়ারি, ২০২০
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ