Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রামগতি পৌরসভা নির্বাচন: শেষ মূহুর্তের প্রচারণা চলছে জমজমাট

রামগতি (লক্ষ্মীপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:১৩ পিএম

১৪ ই ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে প্রচারণা চলছে সমানতালে।নানা উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার এ ভোটে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দীন মেজু ও ধানের শীষের সাহেদ আলী পটুর সাথে।শেষ মূহুর্তে এসে মুলত এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমান মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজুর ব্যাপক উন্নয়ন-জনপ্রিয়তা ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে ভোটারদের মাঝে নৌকার প্রতি আগ্রহ একটু বেশী। বিগত ৫ বছরে নাগরিক সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে বর্তমান মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু এখন ভোটারদের মুখে মুখে।তবে সবকটি কেন্দ্রে এবার প্রথমবারের মত ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।দুইদিন আগেই (শুক্রবার)প্রিসাইডিং,সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে নতুন পদ্ধতির এ ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেখাতে মক ভোটিং-এর ব্যবস্থা করা হয়।ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিক নিয়ে মাওলানা আব্দুর রহিম- স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবি আব্দুল্লাহ ও জামাল উদ্দীন অংশগ্রহণ করেন।রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে ১০ টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সমর্থীত প্রার্থীরা।এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা পৌর শহরে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।প্রতি কেন্দ্র একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।
পাশাপাশি নির্বাচনী কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানোর প্রস্তুতি সহ সম্পন্ন হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।স্থানীয় প্রশাসন আশা করছে সুষ্ঠু,শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবে তারা।তবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে যে উত্তাপ-উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি।সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের দিনে স্বাভাবিকভাবেই উত্তাপ একটু বেশিই ছড়াবে-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।আর এ কারণেই সাধারণ ভোটাররাও ভোট নিয়ে রয়েছেন গভীর উৎকণ্ঠায়।এ নির্বাচনে ২০ হাজার ৯০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।তবে এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটাররাই বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।কে হবেন এই শহরের পৌর পিতা এমন জল্পনা-কল্পনা সাধারণ নাগরিকদের।আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দীন মেজু বলেন,উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছেন ভোটাররা।অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাহেদ আলী পটু সুষ্ঠু ভোট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার অভিযোগ-ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার।সংশ্লিষ্টরা বলছেন,নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংঘাতের তেমন আশংকা নেই।শনিবার প্রচারবিহীন দিনে নিজ নিজ বাসায় থেকে নির্বাচনে জয়ের কলাকৌশল ঠিক করার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের নানা দিকনির্দেশনা দিবেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী সহ অন্যরা।রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন,আমরা একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে যারা চেষ্টা করছে,যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নির্বাচনের দিন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন আরও কঠোর থাকবে।যাতে কোনো পক্ষ কোনোভাবেই নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে। আমি ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৌরসভা নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ