Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আ.লীগ পৌরসভা নির্বাচনে তান্ডব চালিয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রথম দফার ২৪টি পৌরসভায় আগের মতোই রক্তপাত ও ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনী এলাকায় তান্ডবলীলা চালিয়েছে। সরকারের ‘হার্ড হিটিং’ ইমেজ বজায় রাখতে ভোটারসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চলছে বেপরোয়াভাবে। বিএনপি’র এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, তাদের ওপর করা হয়েছে পৈশাচিক আক্রমণ। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করলেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে’। ‘বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল’। তিনি আরও বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথাতেই বোঝা যায় যে, নির্বাচনে বিএনপি না আসুক, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। কারণ বিএনপি’র অংশগ্রহণের কারণে তাদেরকে বিজয়ী হতে ভোটকেন্দ্র দখল করতে হয়, নিশিরাতে নৌকায় সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভরতে হয়, নির্বাচনে সহিংসতা করতে হয়, ভোটারদের ভয় দেখাতে হয়। ফলে তাদের স্বরুপ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই ওবায়দুল কাদের সাহেবের বাকশালী চেতনা জাহির হয়ে পড়ে যে, বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কারণ একতরফা নির্বাচনই হচ্ছে তাদের চেতনা। বন্দুকের জোরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন বাকশালী গণতন্ত্রের চর্চা করছেন।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। তার নমূনা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি আর পাচারের সাথে জড়িত এমপি পাপুলের স্ত্রী ও কন্যা জামিন পেয়েছেন। অথচ মিথ্যা অভিযোগে এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হয় না। হত্যাকান্ডের আসামীদের জামিন হয়, ক্যাসিনো কান্ডের হোতাদের জামিন হয়, টাকা পাচার কান্ডের হোতাদের জামিন হয়, অথচ জামিন হয় না গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের। আইনের শাসন এখন আওয়ামী শাসনে পরিণত হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নয়, আওয়ামী বিচারপতিরা বিরোধী দল নির্মূল করতে বেপরোয়া স্বাধীনতা ভোগ করছেন।
রিজভী বলেন, দেশে কোন সরকার আছে বলে জনগণ মনে করে না। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষরা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই নেই। আসলে সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সিন্ডিকেটের টাকার ভাগ সরকারের মন্ত্রীদের কাছেও যায়। তাই বাজার হয়ে পড়েছে নিয়ন্ত্রণহীন। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ সম্মেলনে রিজভী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ