পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৮ আসামিই একে একে আদালতে স্বীকার করলেন ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা। মামলার এজাহারনামীয় আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান আদালতে এ মর্মে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেন। এ নিয়ে মামলার এজহারভুক্ত ছয় আসামিসহ মোট আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে আগামী ৯ অক্টোবর সিলেটের সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি বৈঠক বসছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সেই বৈঠক থেকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে নিছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে তারেক ও মাহফুজকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য। সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে তারেক ও মহানগর হাকিম-২ সাইফুর রহমানের আদালতে মাহফুজকে করা হয় হাজির। তারপর এ দুই আসামির জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা হয় পৃথক আদালতে। ৩ ঘণ্টাব্যাপি স্বীকারোক্তিতে স্বেচ্ছায় স্বীকার করেছে ধর্ষণকান্ডের সঙ্গে জড়িত তারা। দুই আসামির স্বীকারোক্তি প্রদানের কথা নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, তারা ২ জনই ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে তাদের। এর আগে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার এই দুইদিনে ৬ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম এবং আজ শনিবার রনি, রাজন ও আইনুল আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
আদালত সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর। আর রবিউল জবানবন্দি দেয় মুখ্য মহানগর হাকিম (দ্বিতীয়) সাইফুর রহমানের আদালতে। পরদিন শনিবার দুপুর ১টায় শাহপরাণ থানাপুলিশ কড়া নিরাপত্তায় মামলার তিন নম্বর আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে অতিরিক্ত মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে। এই তিনজনের মধ্যে রাজন শনিবার বিকেল পর্যন্ত সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিকালে গণধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন রাজন। অপরদিকে, শনিবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলার কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন অপর দুই আসামি রনি ও আইনুল। তারাও ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, আগামী ৯ অক্টোবর সিলেটের সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি বৈঠকের তথ্য জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সেই বৈঠক থেকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলাসহ ধর্ষকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গতকাল বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য ধরেন মেয়র আরিফ। মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন সিলেট মহানগর কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সাদেক, ঝুমা রাণী দাস, অশিম দাস, শামসুল ইসলাম, রবিউল মিয়া, আতিক শিকদার, মিয়াজা আলী, এখলাছুর রহমান, মোস্তাক মিয়া, মনির মিয়া, রানু দেব, পরিমল বাবু, জয়ন্তী রানী দাস প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।