Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত থেকে সর্বনাশা ফেনসিডিল ঢুকছেই, যুক্ত হয়েছে ডিয়ালাক্স

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২০, ৬:১৪ পিএম

ভারত থেকে সর্বনাশা ফেনসিডিল ঢোকা কোনভাবেই রুখে দেওয়া যাচ্ছে না। বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়িসহ ফেনসিডিল আটকের পরও থামছে না। উপরন্তু, ভারত থেকে নতুন মাদক ঢুকতে শুরু করেছে। ফেনসিডিলের মতোই দেখতে তার নাম ডিয়ালাক্স।

শুধুুমাত্র যশোর অঞ্চলে গত ৫দিনের ব্যবধানে চিত্র থেকে কী পরিমাণ ফেনসিডিল ঢুকছে তা অনুমান করা যায়। র‌্যাব-৬এ যশোর ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যশোর চাঁচড়া থেকে ৪শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেট কার ও তিনজন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করে। চৌগাছা পুলিশ মাদক ব্যবসায়ির বসতবাড়ি থেকে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাধবখালী থেকে ২১ বোতল ডিয়ালাক্স উদ্ধার করে ৫৮ বিজিবি। এইভাবে প্রায়ই ভারতীয় মাদকদ্রব্য আটক হচ্ছে। তারপরেও থামছে না।

উদ্বেগের বিষয় একে তো ফেনসিডিল আসছে। তার উপর যোগ হয়েছে, নতুন মাদক ডিয়ালাক্স। ভারতের রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের তৈরি ডিয়ালাক্স সিরাপটি কফ সিরাপ হিসেবে ব্যবহার হয় ভারতে। তাতে কোডিন মরফিনের মতো মাদকের উপাদান রয়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশে মাদকসেবীদের কাছে পছন্দ ডিয়ালাক্স। রোন পোলেঙ্ক কোম্পানী ফেনসিডিলও কফ সিরাপ হিসেবে তৈরী করে। যা এখন পুরোপুরি মাদকদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার হয় বাংলাদেশে। ২২আগস্ট মহেশপুর বিজিবি ডিয়ালাক্সের চালান প্রথম আটক করে।

যশোর র‌্যাবের কোম্পানী কমান্ডার এক্স বিএন লেঃ এম সারোয়ার হুসাইন মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ২১ আগস্ট যশোর শহরতলী চাঁচড়া থেকে প্রাইভেট কারসহ আটক ৪শ’ বোতল ফেনসিডিল যাচ্ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ি। রুবেল, মহসিন ও আলী হোসেন নামে তিন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি বেনাপোলে। তিনি বলেন, আমরা কঠোরভাবে ফেনসিডিল ঢোকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কোনরূপ ছাড় নেই।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে চোরাচালান আসলে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তবে বর্তমানে ফেনসিডিল চোরাচালানীরা বেশ অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যথেষ্ট ভুমিকা রাখছে। যার জন্য আটকও হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎস বন্ধ না করে যতরকম ব্যবস্থা নেওয়া হোক শূন্যের কোঠায় আনা কঠিন হবে। বিজিবি’র সূত্র জানায়, প্রায়ই দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় ফেনসিডিল পাচারসহ সীমান্তের অপরাধ নিয়ে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুত্র জানিয়েছে, বহুদিন ধরেই মাদকাসক্তদের সিংহভাগই নেশার জন্য ফেনসিডিল সেবন করে আসছে। এর মাত্রা মাঝেমধ্যে কম হয় আবার বাড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইয়াবা। সীমান্তে দায়িত্বরত একজন বিজিবি কর্মকর্তা জানান, প্রায় প্রতিদিনই ফেনসিডিল আটক হচ্ছে কমবেশী। তারপরেও আসছে ভারত থেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ