পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ব্যর্থতায় গোটা দেশের মানুষ মৃত্যু আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে গোটা দেশের মানুষ এখন মৃত্যু আতঙ্কে ভুগছে, আজকে গোটা দেশের মানুষ জীবিকার চিন্তায় তারা অস্থির হয়ে আছে। কী দুর্ভাগ্য আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছে, যারা বলে তারা স্বাধীনতা চেতনা ধারণ করে তারাই সচেতনভাবে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার হরণ করে নিয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক বিএনপি নেতা মরহুম শাহজাহান সিরাজের স্মরণে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শাহজাহান সিরাজ যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন এবং সবাই যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন, সেই বাংলাদেশকে যদি আমরা নির্মাণ করতে চাই আবার ১৯৭১ সালের মতো আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। এই ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে ওই সময়কার সত্যিকার অর্থের যে চেতনা সেই চেতনাকে আমরা প্রতিষ্ঠিত-বাস্তবায়িত করতে পারবো।
শাহজাহান সিরাজের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, আমি শাহজাহান সিরাজকে শুধুমাত্র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই না, দেশের মানুষও দেখতে চায় না। তাকে সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন নায়ক হিসেবে দেখতে চান, সেভাবে তারা দেখেছেন শাহজাহান সিরাজ সাহেবকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শাহজাহান সিরাজের সারাটা জীবনই দেশের জন্য সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছে। আমরা দেখেছি তার স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা থেকে শুরু করে, মুক্তিযুদ্ধের অংশ নেয়া এবং পরবর্তীকালে যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভিন্নখাতে প্রবাহিত হলো জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়ে একটা একদলীয় সমাজের দিকে চললো এবং দুর্নীত- দুঃশাসন যখন একেবারে মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো, দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো এই দেশে তখন শাহজাহান সিরাজরা কিন্তু আবারো বিরোধিতা করেছেন, সংগ্রামী হয়েছেন এবং সেই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের যে সূচনা, যে ঘোষণা-এটা তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেই সেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, উজ্জীবিত করেছিলো-এগুলো ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা। দুর্ভাগ্য আজকে ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করা হচ্ছে, তাকে যার যার দৃষ্টিকোন থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ, দলীয় স্বার্থকে চরিতার্থ করবার জন্য এখন তারা তাদের মতো করে ইতিহাস রচনা করছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব কষ্ট পাই, দুঃখ পাই যখন আমি দেখি যে, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর যোদ্ধা, বীর সংগ্রামী যারা তাদের জীবনকে বাজি রেখে সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন যারা চলে গেছেন বেঁচেও নেই তাদের সম্পর্কে যখন আলোচনা উঠে সেই আলোচনা যখন আমরা দেখি যে, সেই মহান ব্যক্তিকে যিনি এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান রেখেছেন তাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি কয়েকদিন আগে কয়েক বাংলাদেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী কিছু লেখা লিখেছেন শাহজাহান সিরাজের সম্পর্কে। আমি নাম বলতে চাই না। শুধু এই্টুকু বলতে চাই একজন মানুষকে তার যেটুকু পাওনা সেটুকু দেয়া প্রত্যেকটা রাজনৈতিক নেতা, প্রত্যেকটা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ সকলের দায়িত্ব বিশেষ করে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকের দায়িত্ব যারা আমাদেরকে একটা স্বাধীন দেশ দেয়ার জন্য তারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
চার দলীয় জোট সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী থাকাকালে পরিবেশের দুষণ রোধে পলিথিনের ব্যবহার ও থ্রি হুইলার স্কুটার নিষিদ্ধ, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।