মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভয়াবহ সুনামির মতো করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে লন্ডনের হাসপাতালগুলিতে। সময়ের সাথে সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৪৬৫ জনের। যুক্তরাজ্যের ন্যশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) প্রধান নির্বাহী- ক্রিস হপসন বলেছেন, লন্ডনের হাসপাতালগুলি করোনাভাইরাস রোগীদের একটি ‘অবিচ্ছিন্ন সুনামির’ মুখোমুখি হচ্ছে, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হপসন বলেছিলেন যে, হাসপাতালগুলিতে গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা পাঁচ থেকে সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালগুলি তাদের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল কিন্তু সুনামির গতিতে সেই শয্যাও পুরণ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে বেসামাল হয়ে পড়েছে লন্ডনের স্বাস্থ্যসেবা। তিনি বলেছিলেন যে, সন্দেহভাজন করোনভাইরাস বা অসুস্থ রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ডাক্তার-নার্স ও মেডিক্যাল কর্মীরা। অসুস্থতার কারণে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ মেডিক্যাল স্টাফ কাজে যোগদান করতে পারছেন না। বিবিসি রেডিও ৪ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তারা অতিরিক্ত রোগী ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা যে গতিতে বাড়ছে তাতে আগামী দিনগুলিতে কতটুকু সেবা দিতে পারবেন সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরা। রোগীদের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটাকে একটা ধারাবাহিক সুনামির সঙ্গেই কেবল তুলনা করা যায়।’ হাসপাতালগুলির সিইওরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাদের অতিরিক্ত যে সক্ষমতা ছিল সেটা খুব দ্রæত ব্যবহৃত হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী দিনগুলিতে কিভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবেন সেটা তারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেছিলেন যে, এরই মধ্য কিছু কিছু হাসপাতালে মেডিক্যাল কর্মীদের ৫০ শতাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এটা অনেক উদ্বেগজনক অনুপস্থিতির হার। অতীতে কখনো এমনটা দেখা যায়নি। যুক্তরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। আর করোনার রোগী চিহ্নিত করার জন্য ‘কভিড সিম্পটম ট্র্যাকার’ নামের একটি অ্যাপ এনেছে লন্ডনের কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা। আর সেই অ্যাপই বলছে ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত দেশটির ছয় দশমিক ছয় মিলিয়ন মানুষ। অর্থাৎ প্রায় ৬৬ লাখ। গত সপ্তাহেই এই অ্যাপটিকে বাজারে ছাড়া হয়। অনলাইনে এই অ্যাপটি ছাড়ার পর ২৪ ঘণ্টায় ডাউনলোড করা হয়েছে ৬৫ লক্ষবার। আর সেই থেকে এই অ্যাপটি যারা ব্যবহার করছেন তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষেরই করোনার লক্ষণ রয়েছে। তাদের মধ্যে জ্বর, কাশি ও ক্লান্তি রয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে না থাকলে কাউকে এই ভাইরাসের পরীক্ষা করছে না। তাই বলা যায় কতো মানুষ অসুস্থ তার স্পষ্ট চিত্রগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে এই অ্যাপের তথ্য। অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী যদি প্রতি ১০ জনে একজন করোনায় আক্রান্ত হন; আর সেই বিষয়টি যদি যুক্তরাজ্যের ৬৬ মিলিয়ন জনসংখ্যার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় তাহলে দেশটির ছয় দশমিক ছয় মিলিয়ন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। বিবিসি, গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।