Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষুদ্র আমানতকারীরা বিপাকে

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে ২০১৭ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা তাজরিন ইসলাম। চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর সঞ্চয়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ভাবনায় ছিলেন, মেয়াদ শেষে ওই টাকা আরো তিন বছরের জন্য বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু তাঁর এই ভাবনায় বাদ সেধেছে প্রকল্পের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত। নতুন করে এখানে বিনিয়োগ করার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। কারণ সুদের হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তাজরিন ইসলাম বলেন, নিরাপদ বিনিয়োগের নিশ্চয়তা ও তুলনামূলক বেশি সুদ মেলায় এখানে অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম, কিন্তু সুদ কমিয়ে দেওয়ায় সেই সুযোগটুকুও আর থাকছে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমিয়ে দেওয়ায় তাজরিন ইসলামের মতো অনেকেই এখন বিপাকে পড়েছেন। টাকা রাখতে নিরুৎসাহীত হচ্ছেন। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এই অনীহার কারণে এই সঞ্চয় প্রকল্প থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার সুযোগও কমে যাবে। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপরই সরকারকে অধিক নির্ভরশীল থাকতে হবে। অথচ অর্থবছরের সাত মাস না যেতেই সরকার ইতিমধ্যে পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার বেশি ব্যাংকঋণ নিয়ে ফেলেছে।

সূত্র মতে, সব ধরনের ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের প্রায় হার অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে সরকার। সহজ করে বললে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার সরকারের নেয়া এমন সিদ্ধান্তে মাথায় যেন বাজ পড়েছে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের। চলতি মাস থেকে ব্যক্তি আমানতের সুদহারও কমিয়ে দিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যক্তি আমানতে ৬ শতাংশ সুদ বেঁধে দেওয়ার ফলে আমানতকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন বিনিয়োগে। বিশেষ করে মানুষের মধ্যে ব্যাংকে আমানত রাখা কমিয়ে দিয়ে বাসাবাড়িতে টাকা রাখার প্রবণতা বাড়বে। এদিকে বাধ্যতামূলক ই-টিআইএন সার্টিফিকেট এবং ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগে উৎসে কর বেড়ে যাওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ। আবার ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে চাইছেন না অনেকে। আমানত নিয়ে নতুন এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, উচ্চ সুদের প্রলোভন দেখিয়ে গজিয়ে উঠতে পারে ‘হায় হায়’ কোম্পানির দৌরাত্ম। সঞ্চয়কারীকে নিঃস্ব করে যে কোনো সময় আবার হাওয়া হয়ে যেতে পারে তারা। একই সঙ্গে তারল্য সংকট আরো প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দুর্বল ভিত্তির ব্যাংকগুলোর।

জানা গেছে, সব ধরনের ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। অনুরূপভাবে দুই বছর মেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্পের সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর এক বছর মেয়াদে সুদহার ১০ দশমিক ২০ থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। ডাকঘরের আমানতকারী চাইলে প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন। আর সেখানেও সুদের হার কমবে। প্রথম বছরে ৪, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৪ ও তৃতীয় বছরে ৫ শতাংশ হারে মুনাফা মিলবে। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৯, সাড়ে ৯ ও ১০ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন সুদহারে ডাকঘরে টাকা রাখলে প্রকৃত মুনাফা বলে কিছুই থাকবে না। কারণ বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার আর ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার প্রায় একই বা তার চেয়েও কম। ফলে এখানে টাকা রাখলে প্রকৃত অর্থে আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ফলে তাঁরা সঞ্চয়ে নিরুৎসাহিত হবেন। সঞ্চয়ে তাঁদের আগ্রহ কমে যেতে পারে। জনগণের আমানত অপ্রচলিত খাতে চলে গেলে ব্যাংকে তারল্য সংকট আরও বাড়তে পারে। ফলে নতুন করে ডেসটিনি, ইউনিপে টু, কো-অপারেটিভ ব্যাংক, যুবকের মতো অনেক ধান্দাবাজ প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠবে। ফলে ঋণের সুদ কমানোর লক্ষ্যে শুধু আমানতের সুদ কমানোর ওপর জোর না দিয়ে খেলাপি ঋণ আদায়, উচ্চ খরচ কমানোর পাশাপাশি বড় মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ব্যাংকগুলোকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

এদিকে চলতি মাস থেকে ব্যক্তি আমানতের সুদহারও কমিয়ে দিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যাংক আমানতে সুদহার ৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক মেয়াদি স্কিম ছাড়া সব ধরনের আমানতের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। তবে যেসব আমানতের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত রাখা যাবে। এই আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ পাবে সরকারি সংস্থাগুলো। আর সরকারি ব্যাংকে আমানত রাখলে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ শতাংশ সুদ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে মানুষকে সঞ্চয়ে নিরুৎসাহ করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। এটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এর ফলে সাধারণ মানুষ সঞ্চয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। একই সঙ্গে সঞ্চয় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে চলে যাওয়ারও শঙ্কা তৈরি হবে, যা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। তিনি বলেন, এমনিতেই সঞ্চয়ের হার কমে গেছে। আর সঞ্চয় না হলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জানা যায়, বিশ্বের অনেক দেশে টাকা রেখে দুই-আড়াই শতাংশ বা তার চেয়ে কম সুদ পাওয়ার নজির আছে। তবে ওইসব দেশে মূল্যস্ফীতি খুব কম থাকায় এবং বিনিয়োগ করার মতো নির্ভরযোগ্য অনেক উপায় থাকায় সেখানে সঞ্চয়কারীদের ঠকতে হয় না। তবে বাংলাদেশে প্রায় ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। আমানতেও এ রকম সুদ পাওয়ার মানে, তিনি আসলে যে টাকা রাখবেন তা থেকে ক্ষয় হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ডিসেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তাই একজন ব্যক্তি এক লাখ টাকার মেয়াদি আমানত রাখলে ৬ শতাংশ হারে বছর শেষে তিনি পাবেন এক লাখ ৬ হাজার টাকা। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে এখন এক লাখ টাকায় যে পণ্য কিনতে পারছেন, এক বছর পরে তা কিনতে খরচ করতে হবে এক লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মানে, তিনি নিট পেলেন এক লাখ আড়াইশ’ টাকা। তবে টিআইএন না থাকার কারণে পুরো ৬ হাজার টাকা মুনাফার ওপর তাকে উৎসে কর দিতে হবে ৬শ’ টাকা। এর ওপর বছরে দুই দফায় চারশ’ টাকা চার্জ নেবে ব্যাংক। এর মানে, এক লাখ টাকা রেখে বছর শেষে তিনি আসলে পাচ্ছেন ৯৯ হাজার ২৫০ টাকা।

এদিকে অনিশ্চয়তার কারণে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও টাকা রাখতে চাইছেন না অনেকে। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ অনিয়মসহ নানা কারণে টাকার চরম টানাটানিতে পড়েছে কয়েকটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অবস্থা এতটাই খারাপ যে গ্রাহকের টাকা পর্যন্ত ফেরত দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া ১ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে বাধ্যতামূলক ই-টিআইএন সার্টিফিকেট এবং ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগে সুদ কমিয়ে দেয়ায় আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে লাগছে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। প্রকৃত গ্রাহকদের হাতে সঞ্চয়পত্র পৌঁছাতেই এমনসব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু গত জুলাইয়ে উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের পর থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে অস্বাভাবিক স্থবিরতা নেমে এসেছে। যার ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা, যা পুরো অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২০ শতাংশ। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৭৮ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের একই সময়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানত রয়েছে ১১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬ হাজার কোটি মেয়াদি আমানত। মাত্র ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা রয়েছে চলতি হিসাবে। ব্যাংক খাতের মোট আমানতের সিংহভাগ বেসরকারি খাতের। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের রয়েছে উদ্বৃত্ত অর্থ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ চলতি জানুয়ারি মাসের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত মাসে দেশের ৬০টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ২৫টি ব্যক্তি আমানতকারীদের থেকে তহবিল সংগ্রহে গড়ে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ দিয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি, বিশেষায়িত দুটি, বিদেশি চারটি ও বেসরকারি ১৩টি ব্যাংক। বাকি ৩৩টি ব্যাংক আমানতকারীদের গড়ে সাড়ে ৯ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আগের মাস ডিসেম্বরে ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ২০টি ব্যাংক আমানতকারীদের সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ দিয়েছিল। এর মানে এক মাসের ব্যবধানে পাঁচটি ব্যাংক তাদের আমানতের সুদ কমিয়ে এনেছে।

সঞ্চয়পত্রে নয়, সুদ কমেছে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের : ডাকঘর থেকে যেমন সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, তেমনি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের আওতায় টাকাও রাখা যায়। এ স্কিমে সুদহার অর্ধেক করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল রোববার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। এটির মাধ্যমে ডাকঘরে যে সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংকের সুদের হার সরকারি ব্যাংকের সুদ হারের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সরকারের যে সঞ্চয়পত্র সেটির সুদের হার কমানো হয়নি, এটি যা ছিল তাই আছে।

এতে আরও বলা হয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের পরিপত্রটি জারির পর বিভিন্ন গণমাধ্যম বা পত্রপত্রিকায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বিধায় বিষয়টি স্পষ্টিকরণ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। ডাকঘর থেকে যেমন সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, তেমনি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের আওতায়ও টাকা রাখা যায়। ডাকঘরে চারভাবে টাকা রাখা যায়। ডাকঘর থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাব খোলা যায়। আবার ডাক জীবন বীমাও করা যায়। এবার সুদের হার কমেছে ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাবে। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত যে নির্দেশনা জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার হবে ৬ শতাংশ, যা এত দিন ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ছিল। মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য সুদ মিলবে ৫ শতাংশ, আগে যা ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। দুই বছরের ক্ষেত্রে তা সাড়ে ৫ শতাংশ, আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।



 

Show all comments
  • সুমাইয়া ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:০২ এএম says : 1
    সব ঝড় যাবে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্তদের উপর দিয়ে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষুদ্র

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ