মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সফলভাবে নতুন বছরের শুরুতেই মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করলো ভারত। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাতে ২০২০ সালের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে দেশটি। সেই রকেটেই মহাকাশে পোঁছল ভারতের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট Gsat-30.
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির রকেটে পাঠানো হয় সেই স্যাটেলাইট। হেভি লিফট লঞ্চ ভেইকল Ariane-5 (VA 251)- এ পাঠানো হয়েছে এই স্যাটেলাইট।
লঞ্চ হওয়ার ৩৮ মিনিট পর কক্ষপথে স্থাপিত হয় ওই স্যাটেলাইট। ৩,৩৫৭ কেজির ওই স্যাটেলাইট Insat-4a স্পেসক্রাফটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে। ভারতের দ্বীপসহ বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিকেশন বাড়াতে কাজ করবে এই স্যাটেলাইট।
এই স্যাটেলাইটের আয়ু ১৫ বছর। গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কাজে এই স্যাটেলাইট বিশেষ কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। ফ্রান্সের গিয়ানা স্পেস সেন্টার থেকে ভোররাতে ওড়ে এই স্যাটেলাইট। এর থেকে DTH সার্ভিস ও ডিজিটাল নিউজ পরিসেবা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
এক বছর আগে ভারতের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট Gsat-31 লঞ্চ করেছিল এই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করে আসছে ভারত ও ফ্রান্স। এদিকে, এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে গগনযানের জন্য মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। চারজন মহাকাশচারীকে ইতোমধ্যেই মনোনীত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ইসরো প্রধান কে শিবানের পক্ষ থেকে।
গগনযান ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান অভিযান। যার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে চার মহাকাশচারীকে। জানানো হয়েছে, গগনযানের টেস্ট ফ্লাইট চলতি বছরে পাঠান হবে মহাকাশে।
কে শিবান জানান, এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাশিয়াতে শুরু হবে প্রশিক্ষণ। এছাড়াও চন্দ্রায়ন ৩ এবং গগনযানের জন্য এই প্রশিক্ষণ চলবে বলেও জানান। চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পরা চন্দ্রযান ২ কে চিহ্নিত করার জন্য চেন্নাইয়ের প্রযুক্তিবিদকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। কে শিবান জানিয়েছেন তারা বুঝতে পেরেছেন কোথায় রয়েছে চন্দ্রযান ২। এছাড়াও বিক্রম ল্যান্ডারে কি ভুল ছিল তাও তারা বুঝতে পেরেছেন। কি জন্য এমনটা হয়েছেন তাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও জানা গেছে, ভারতীয় সময় মতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলবর্তী উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ফ্রেঞ্চ গিয়ানা থেকে স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ করা হয়। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ‘আরিয়ানস্পেস’-এর আরিয়ানা-৫ লঞ্চ ভেহিকেলে (ভিএ-২৫১) চেপে পাড়ি দেয় জিস্যাট-৩০ উপগ্রহ। এই স্যাটেলাইটের কার্যকাল কমপক্ষে ১৫ বছর। ফ্রেঞ্চ গিয়ানা থেকে এর আগে প্রায় ২০টি উপগ্রহ মহকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। এই কেন্দ্রটি ১৯৮১ সাল থেকে ব্যবহার করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
‘আরিয়ানস্পেস’-এর স্টিফানে ইজরায়েল টুইট করে আরিয়ান-৫ রকেটের উৎক্ষেপণের কথা জানান। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “২০২০ সালের শুরু থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ শুরু করেছি আমরা। আরিয়ান-৫ লঞ্চ ভেহিকেলে চেপে জিওস্টেশনারি অরবিটে পৌঁছে গেছে জিস্যাট-৩০।” সফল উৎক্ষেপণের পর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরোর ইউ আর স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর পি কুনহিকৃষ্ণণ।
জিস্যাট-৩০ উপগ্রহটির ওজন ৩৩৫৭ কিলোগ্রাম। ইসরো জানিয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছিল ইসরো। জিস্যাট-৩০-র সফল উৎক্ষেপণের ফলে আগামি দিনে দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ পরিষেবা আরও উন্নত হওয়ার পাশাপাশি, টেলিভিশন প্রযুক্তিতে বিশেষ সুফল পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয় প্রত্যন্ত গ্রামে ডিটিএইচ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।