Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সত্যালোকের সন্ধানে - ইসলামে আত্মিক ইবাদতের গুরুত্ব

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী
আত্মিক ইবাদতের পঞ্চম উপসর্গ হচ্ছে সবর বা ধৈর্য। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে :
“প্রজ্ঞাবান মর্যাদাশীল রাসূলগণ যেভাবে ধৈর্যাবলম্বন করেছেন তোমরা সেভাবে ধৈর্যাবলম্বন কর।” (সূরা আহক্কাফ : রুকু-৪)
আরবি সবর বা ধৈর্য কথাটির মর্ম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে বহু অন্ধকারপ্রসূত আবরণ দেখা দিয়েছে। তাদের নিকট সবর বা ধৈর্য হচ্ছে এমন অসহায়ত্ব ও নিরীহ অবস্থার চিত্র, যার কারণে দুশমনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে না। আসলে সবর বলতে এটাই কি প্রতিপাদ্য বিষয়?
সবরের আভিধানিক অর্থ
সবরের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও সংযত রাখা। অর্থাৎ স্বীয় নফসকে অধীরতা ও ভীতিপ্রদ অবস্থার হাত হতে বিরত রেখে স্বস্থানে বহাল রাখা ও সূদৃঢ় রাখা। আর এই সবরের অভ্যন্তরীণ হাকিকতও তাই। অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত নিশ্চুপতা এবং প্রতিশোধ গ্রহণে অপারগতার বাধ্যবাধকতা নয়। বরং দৃঢ়চিত্ততা, সাহসিকতা, নৈতিক সামর্থ্য দৃঢ় কদম হওয়ার নামই হচ্ছে সবর। হযরত খিজির ও হযরত মূসা (আ.)-এর কাহিনীতে একই আয়াতে তিনটি স্থানে এই শব্দটি এসেছে এবং সব স্থানে এর অর্থও তাই।
হযরত খিজির (আ.) বলেছেন, “তুমি আমার সাথে ধৈর্য রাখতে পারবে না, আর ঐ কথার উপর কিভাবে ধৈর্য ধারণ করবে যার জ্ঞান তোমার নেই।” (সূরা কাহাফ : রুকু-৯) হযরত মূসা (আ.)-এর উত্তরে বলেছেন, যদি আল্লাহপাক ইচ্ছা করেন, তাহলে তুমি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবে। (সূরা কাহাফ : রুকু-৯) হযরত খিজির (আ.) আরও বলেছেন, “যে বিষয়ের খবরই তোমার নেই, সে সম্পর্কে ধৈর্য ধারণ তুমি কীভাবে করবে? (সূরা কাহাফ : রুকু-৯) এখানে সবরের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অজানা অবস্থায় অস্বাভাবিক ঘটনাবলীর অবতারণা ঘটলে অন্তরে অস্থিরতা ও অধীরতা সৃষ্টি না হওয়া এবং সার্বিকভাবে সুদৃঢ় পদ থাকা। অবিশ্বাসী কাফিররা স্বীয় পয়গাম্বরগণের উপদেশ দান ও সুপথ প্রদর্শের পরও পরিপূর্ণ দৃঢ়তা ও বিরুদ্ধবাদিতাসহ নিজেদের মূর্তি পূজায় অবিচল রইল। তাদের এই অবিমৃষ্যকারিতার ঘটনা কুর-আনুল কারীমের ভাষায় এভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, “এই ব্যক্তি (পয়গাম্বর) আমাদেরকে নিজেদের দেবতাসমূহ থেকে (মূর্তি) দূরে সরিয়ে দিত, যদি আমরা এর ওপর সুদৃঢ় না থাকতাম।” (সূরা ফুরকান : রুকু-৪) অর্থাৎ আমরা যদি নিজেদের বিশ্বাসের ওপর সুদৃঢ় না থাকতাম, তাহলে পয়গাম্বর আমাদের মূর্তি পূজা হতে বহু দূরে সরিয়ে দিত। একই অর্থ অপর এক আয়াতেও ব্যক্ত করা হয়েছে। অবিশ্বাসী কাফিররা বলে, “চল এবং নিজেদের দেবতার ওপর সবর কর (অর্থাৎ সুদৃঢ় থাক)।” (সূরা সোয়াদ : রুকু-১)
আরবের অসভ্য বেদুঈনরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হুজরার সামনে এসে অশালীন উক্তিসহ চিৎকার করত। তাদেরকে বলা হয়েছে যে, এত উচ্ছৃঙ্খলতা প্রকাশের প্রয়োজন কি ছিল? যদি তারা থেমে থাকত তাহলেই ভালো ছিল। এ প্রসঙ্গে আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “এবং যদি সামান্য ধৈর্য ধরত, (অর্থাৎ থেমে যেত) এ পর্যন্ত যে, তুমি (হে রাসূল) তাদের কাছে বেরিয়ে আসতে তাহলে খুবই উত্তম হতো।” (সূরা হুজরাত : রুকু-১) কোর-আনুল কারীমে সবর শব্দটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যদিও অবস্থার পরিবর্তনের দ্বারা এর অর্থ ও মর্মের ক্ষেত্রে কখনো সামান্য প্রভেদ দেখা দিয়েছে। এরপরও এসবের উৎস হলো একই। অর্থাৎ দৃঢ়চিত্ততা, অবিচল মনোবৃত্তি, সুদৃঢ় পদভঙ্গি ইত্যাদি সবরের বিভিন্ন মর্ম ও হাহিকত রয়েছে। কোরআনুল কারিমে এই শব্দটির ব্যবহার এসব মর্মকেই তুলে ধরেছে। এবার সংশ্লিষ্ট মর্ম ও তত্ত্বের কিছুটা বিশ্লেষণ অবশ্যই প্রয়োজন।
যথার্থ সময়ের প্রতীক্ষা
সবর হচ্ছে যথার্থ সময়ের প্রতীক্ষা করা। সকল দুঃখ, কষ্ট, বেদনা ও সব প্রতিকূল অবস্থায় ধৈর্য ও সহনশীলতাসহ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সাধনে সুদৃঢ় থাকা এবং যথার্থ সময়ের জন্য প্রতীক্ষায় থাকা। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইসলামের প্রারম্ভে যখন মানুষের সামনে তাওহীদ ও ইসলামের তাবলীগ পেশ করলেন, আরবের প্রতিটি ধূলিকণা তার বিরোধিতায় সরগরম হয়ে ওঠে। চারদিকেই দেখা দেয় প্রতিবন্ধকতা, বৈরিতা ও দুশমনীর প্রবল প্রচারণা, একই সাথে মরু আরবের প্রতিটি রন্ধ্রে গর্জে ওঠে অপশক্তির নিদারুণ ছোবল। এ কারণে মানবিক দিক থেকে তিনি কিছুটা ভীতি অনুভব করেন এবং সফলতার চূড়ান্ত পথ বহু দূর বলে মনে হতে থাকে। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহপাক সান্ত¦না সূচক বাণী নাজিল করেন এবং বলে দেন যে, ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কোনোই কারণ নেই। বরং আপনি ব্যাপকভাবে দাওয়াতের কাজ শুরু করুন। ফলে রাসূলুল্লাহ (সা.) অদম্য উৎসাহে কাজ পরিচালনা করতে লাগলেন। কারণ আল্লাহপাকই তার নেগাহবানী করতেন। আর আল্লাহপাকের তরফ হতে চূড়ান্ত ফয়সালা যথা সময়েই আসবে বলেও তাকে জানিয়ে দেয়া হয়। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “(হে প্রিয় রাসূল!) তুমি স্বীয় প্রতিপালকের নির্দেশ মোতাবেক দৃঢ়পদ থাক, কেননা তুমি আমার দৃষ্টির মাঝে রয়েছ। (সূরা তুর : রুকু-২) অপর এক আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, “তুমি দৃঢ়পদে প্রতীক্ষায় থাক, আল্লাহপাকই আমাদের মাঝে ফয়সালা করবেন।” (সূরা আ’রাফ) অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি দৃঢ়পদে প্রতীক্ষা করতে থাক, এ পর্যন্ত যে আল্লাহপাক ফায়সালা করে দেবেন, কেননা তিনিই উত্তম ফায়সালাকারী।” (সূরা ইউনূস : রুকু-১১) পরবর্তীতে আবারো জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ‘তুমি দৃঢ়পদে সময়ের এন্তেজার কর, অবশ্যই শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্যই নির্ধারিত।’ (সূরা হুদ : রুকু-৪) এই এন্তেজারের দুঃসহতম অবস্থায় একদিকে সত্য পথ ও মতের অনুরাগীদের হালত ছিল খুবই দুর্বিষহ। ভয়, শঙ্কা, আতঙ্ক ও অস্থিরতায় তারা ছিলেন নিমগ্ন। অপরদিকে মিথ্যা ও বাতিলের জয়জয়কার অবস্থা। মিথ্যা প্রচারণাও ছিল তাদের ব্যাপক। এমতাবস্থায়ও সত্যপথে সুদৃঢ় থেকে সফলতার প্রত্যাশায় বুক বাঁধার জন্য আল্লাহপাক নির্দেশ করছেন, “দৃঢ় পদে অবিচল থাক, অবশ্যই আল্লাহর অঙ্গীকার সত্য।” (সূরা রুম : রুকু-৬ এবং সূরা মুমিন : রুকু-৮) আর এমনও যেন না হয় যে, আল্লাহর অঙ্গীকারের প্রকাশ দেরিতে হলে বিপদে অধৈর্য হয়ে সত্যকে পরিত্যাগ করবে এবং বাতিলের দলে ভিড়ে যাবে। তাই তো এ প্রসঙ্গে সতর্ক করে ঘোষণা করা হয়েছে, “স্বীয় পরওয়ারদিগারের নির্দেশ মোতাবেক দৃপ্ত পদে অটল থাক এবং বিরুদ্ধবাদীদের অপরাধ ও অবিশ্বাসের কথা মান্য কর না।” (সূরা দাহর : রুকু-২)
রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হযরত ইউনূস (আ.)-এর কাহিনী শোনানো হয়েছে। তিনি মনে করেছিলেন, তাঁর নাফরমান কাওমের ওপর আল্লাহর আজাব আসতে দেরি হচ্ছে। এ জন্য তিনি পলায়ন করলেন। অথচ তাঁর কাওমের লোকেরা মনে মনে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য আজাব তাদের ওপর হতে সরে যায়। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলে দেয়া হলো, তোমার হাত থেকে যেন ধৈর্যের রজ্জু কখনো ছিন্ন হয়ে না যায়। ইরশাদ হচ্ছে, “স্বীয় প্রতিপালকের ফায়সালার ওপর দৃঢ়পদে অবিচল থাক এবং মৎস্যওয়ালার মতো হয়ো না।” (সূরা নুন : রুকু-২)
অধীর না হওয়া সবর বা ধৈর্যের দ্বিতীয় তাৎপর্য হচ্ছে এই যেÑ দুঃখ, কষ্ট, মুশকিল, মুসিবতের সময় অধীর ও বেকারার না হওয়া এবং এটাকে মুসলিহাত মনে করে সানন্দে বরণ করে নেয়া। একই সাথে এই বিশ্বাস করা যে, যখন সময় আসবে তখন আল্লাহ স্বীয় রহমতে তা অবশ্যই বিদূরিত করবেন। আল্লাহপাক এই শ্রেণীর অটল ও অবিচল ব্যক্তিদের প্রশংসা করে বলেছেন, “এবং ওই শ্রেণীর ধৈর্যশীল যারা মুসিবতের সময় ধৈর্য ধারণ করে।” (সূরা হজ্জ : রুকু-৫) হযরত ইয়াকুব (আ.) ছেলেদের মিথ্যা সংবাদ শ্রবণ করে যে, “হযরত ইউসুফ (আ.)-কে বাঘে খেয়ে ফেলেছে” বলেছিলেন “বরং তোমাদের অন্তর এই কথাটি বানিয়ে দিয়েছে, সুতরাং ধৈর্য অবলম্বন করাই উত্তম, আর তোমরা যা বলছ, এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছেই সাহায্য কামনা করা যায়।” (সূরা ইউসুফ : রুকু-২) পরবর্তীতে অপর ছেলেকে মিসরে আটকের কথা শুনে বলেছিলেন, “বরং এই কথাটিও তোমাদের মনের বানানো, সুতরাং ধৈর্যই উত্তম পন্থা, অতিসত্বর আল্লাহপাক হয়তো তাদের সকলকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন।” (সূরা ইউসুফ : রুকু-১০)
হযরত আইয়ুব (আ.) দৈহিক ও সম্পদভিত্তিক মুসিবতসমূহকে যেভাবে ধীরস্থির ও প্রশান্ত চিত্তে বরণ করে নিয়েছিলেন, স্বয়ং আল্লাহপাক তাঁর প্রশংসায় বলেছেন, “অবশ্যই আমি আইয়ুব (আ.)-কে ধৈর্যশীল পেয়েছি, সে কত না উত্তম বান্দাহ এবং সে ছিল আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।” (সূরা সোয়াদ : রুকু-৪) হযরত ইসমাঈল (আ.) আপন ¯্রহেপ্রবণ পিতার ছুরির নিচে মাথা রেখে বলেছেন, “হে পিতা! যা তোমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা পালন কর, আল্লাহর ইচ্ছায় অবশ্যই আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবে।” (সূরা সাফফাত : রুকু-৩)
বিপদকে অন্তর্মুখী না করা সবর ধৈর্যের তৃতীয় বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে, মঞ্জিলে মাকসুদের পথে যেসব বিপদ ও সংকট আপতিত হবে এবং দুশমনরা যেসব কষ্ট দেবে এমনকি বিরুদ্ধবাদীরা যেসব প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, এসবের একটিও যেন অন্তর্মুখী না হয় এবং এর দ্বারা যেন অন্তরে দুর্বলতা ও ভয়ভীতির সঞ্চার না হয়; বরং এর মাঝে যেন দৃঢ়তা ও অবিচল ভাব বেশি করে ফুটে উঠে।
পৃথিবীতে বড় বড় কাজ সম্পাদনকারীদের পথে বাধার পাহাড় প্রতিনিয়তই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তারা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সাথে এসবের মোকাবেলা করেছেন। ফলে বিজয় তাদের মুঠোয় ধরা দিয়েছে। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে দ্বিতীয়বার অহি নাজিল করে তাবলীগ ও দাওয়াতের দায়িত্ব পালনের হুকুম দেয়া হয়। “হে বস্ত্রাবৃত! ওঠ এবং মানুষকে সতর্ক কর... এবং স্বীয় পরওয়ারদিগারের সন্তুষ্টি বিধানে ধৈর্য অবলম্বন কর।” (সূরা মুদ্দাসসির : রুকু-১) এই শ্রেণীর সংকটকাল অধিকাংশ আম্বিয়ায়ে কেরাম অতিক্রান্ত করেছিলেন। খোদ রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে নবুওতের এই উদাহরণ অনুসরণ করার হুকুম দেয়া হয়, “হে মুহাম্মদ (সা.)! তুমিও ধৈর্য ধারণ কর, যেভাবে ধৈর্য ধারণ করেছেন দৃঢ়পদ রাসূলগণ এবং বিরুদ্ধবাদীদের জন্য জলদী করবে না।” (সূরা আহকাফ : রুকু-৪) হযরত লুকমানের জবানে স্বীয় ছেলের প্রতি নসিহত শোনানোর কাহিনী উদ্ধৃত করা হয়েছে। সত্যের দাওয়াত ও তাবলীগ এবং মঙ্গল কাজের নির্দেশ দান ও খারাপ কাজ হতে বিরত থাকার দায়িত্বপূর্ণ দৃঢ়তার সাথে পালন করার হুকুম দেয়া হয়। একই সাথে এ পথে যত রকম বিপদ আসুক না কেন তার মোকাবেলা করার নির্দেশ দেয়া হয়। “মঙ্গল কাজের নির্দেশ কর, অমঙ্গলকে প্রতিহত কর এবং যে সকল বিপদ এ পথে আসবে তার মোকাবেলা কর, অবশ্যই এ হচ্ছে দৃঢ়চিত্ততার কাজ।” (সূরা লুকমান : রুকু-২)
আরবের কাফিররা আল্লাহর আজাব দ্রুত না আসার কারণে এবং মুসলমানদের দুরবস্থার সুযোগে নানাভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে শক্তি ও কটূক্তির দ্বারা কষ্ট দিতে লাগল। এমন সময় হুকুম হলো, এসব কটূক্তির পরোয়া কর না, এর ফলে অন্তরকেও উদাস করে তোল না; বরং গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখ অন্যান্য পয়গাম্বর কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। “তারা যা বলছে এর ওপর ধৈর্য ধারণ কর এবং আমার বান্দাহ দাউদের কথা স্মরণ কর।” (সূরা সোয়াদ : রুকু-২)
এই ধৈর্য শক্তি অর্জনের তরীকা হচ্ছে এই যে, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং তাঁর শক্তির ওপর ভরসা করা, “তারা যা বলছে এর ওপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসুলভ পবিত্রতা বর্ণনা কর প্রত্যুষে।” (সূরা ত্বাহা : রুকু-৮ এবং সূরা কাফ : রুকু-৩) বিরুদ্ধবাদীদের কটূক্তি ও যন্ত্রণাদায়ক আচরণকে শুধু কেবল আমল না দেয়াই নয়, বরং এর প্রত্যুত্তরে মানবতা ও সহমর্মিতার ভাবও যেন পয়দা হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে, “তারা যা বলছে এর ওপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তাদের সংস্পর্শ হতে উত্তমরূপে পৃথক হয়ে যাও। ”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ