পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজবাড়ীতে দুই ধরনের লাউ চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকদের। লাউয়ের নাম মেটাল ও ডায়না। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে অনেক বেশি। তাছাড়া বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের আফড়া এলাকার কৃষক আনসার আলী। এখন সবাই তাকে এক নামে চিনেন। তিনিই মেটাল ও ডায়না জাতের লাউ চাষ করে সবার নজরে পড়েছেন। তার পথ অনুসরণ করে এলাকার অনেকেই মেটাল ও ডায়না লাউ চাষের দিকে ঝুকেছেন। এতে করে আনসার আলীর মতো অন্যদেরও ভাগ্যের চাকা বদলেছে।
এক সময় ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে আনসার আলী সংসারের চাকা সচল রেখেছিলেন। ঘোড়ার গাড়ি চালানো কষ্টকর হওয়ায় বাদ দিয়ে নিজের জমিতে কিছু একটা করার পরিকল্পনা করেন। দেড় বিঘা জমি ও পরিশ্রম তার সংসারের চাকা সচল রেখেছে। আলাপকালে তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার পরই তিনি ওই দেড় বিঘা জমিতে ভালো ফলনের আশায় মেটাল ও ডায়না লাউ চাষ করেন। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। জমিতে যে শ্রম দিয়েছেন তার হিসাব করেননি। এ ব্যাপারে কৃষকের কথা, ঘোড়ার গাড়ি চালানোতে যে কষ্ট হত সেটাই মনে করে জমিতে শ্রম দিয়েছেন।
এবার শীত মৌসুম শুরুর পর আনসার আলী এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। শীতকাল শেষ হওয়ার আগেই কমপক্ষে আরো অন্তত ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
আনসার আলী একা নন। তার মত লাউ চাষে ভাগ্য ফিরেছে একই এলাকার পরিমল দাস, ফিরোজ আহম্মেদ, মিজুসহ শত শত কৃষকের। গত সোমবার সকালে সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের আফড়া এলাকার গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ অন্যান্য শীতকালীন সবজির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে লাউ চাষ হয়েছে। আর কৃষকরা প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত।
আনসার আলীসহ অন্যান্য কৃষকরা জানান, লাউ চাষে খরচের তুলনায় লাভের অঙ্ক বেশি। তাছাড়া দুই জাতের লাউ চাষে কোনো রোগ বালাইও নেই। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। কৃষক পরিমল দাস বলেন, এ বছর লাউ এর যে ফলন হয়েছে তা বিগত ১০ বছরেও হয়নি। এখন বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে কমপক্ষে ৫০ টাকা। কৃষি অফিসের আরো সহযোগিতা পাওয়া গেলে আগামী বছর লাউ চাষ আরো বাড়বে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মানিক দাস ইনকিলাববে বলেন, লাউ উচু ও বেলে দোআশ মাটিতে ভালো হয়। লাউ চাষে ভালো মানের জাত ও রোগ বালাই সম্পর্র্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। যে কারনে কৃষক ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন শেখ বলেন, রাজবাড়ীর লাউ জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাচ্ছে। প্রতিদিন পাইকাররা এসে ট্রাক বোঝাই করে লাউ নিয়ে যাচ্ছেন। লাউ চাষে কৃষকদের প্রনোদনা, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া মাঠকর্মীরা নিয়মিত রোগ বালাই হচ্ছে কিনা পরীক্ষা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।