পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাঙালি জাতি অন্যায় মেনে নেওয়ার জাতি নয়। পাকিস্তান বুঝতে পারিনি, তার জন্য তাদেরকে মাশুল দিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক সৈরাশাসক বুঝতে পারিনি তাদেরকেও মাশুল দিতে হয়েছে। এখনো যদি কেউ মনে করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকবে, তারা থাকতে পারবে না। এই বাঙালি জাতি থাকতে দেবে না।’- সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন এসব কথা বলেছেন।
ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আর গণতন্ত্রের অর্থ হলো দেশের জনগণের অধিকার। সেই অধিকার যদি কেউ অন্যায়ভাবে হরণ করার চেষ্টা করে। তার মানে এই নয় যে, আমরা অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। কেউ যদি অন্যায়ভাবে অধিকার হরণের চেষ্টা করে তাহলে সেটাই হলো সবচেয়ে বড় ক্রাইম। এই ক্রাইমকে ধ্বংস করে আমাদের সেই অধিকার পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, যারা মানবাধিকার হরণ করে, মানুষের অধিকার হরণ করে তারা মহা অপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হলে ঐক্য প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ হয়েই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ডঃ কামাল হোসেন বলেন, আমরা তো পরাধীন নই। সংবিধান অনুযায়ী আমরা স্বাধীন দেশের মালিক। স্বাধীন দেশের মালিক হয়ে আমাদের যে অধিকার সেই অধিকারগুলো এক মুহূর্তের জন্য আমরা হারাতে পারি না। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, কথা বলার অধিকার আমাদেরকে দিয়ে গেছেন সেই অধিকার আমাদের নেই- এটা মনে করে তাদের সাথে বেঈমানি করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, যে মানবাধিকারের জন্য ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, ও স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছে সেই মানবতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে এই মানবাধিকার আদায়ের বিষয়ে মিটিং, আলোচনা হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হুদা মিলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদুত মোঃ মোফাজ্জল করিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।