মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ ও ব্রেক্সিট পার্টির জোটগতভাবে কাজ করার প্রস্তাব নাকচ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সা¤প্রতিক এক রেডিও অনুষ্ঠানে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাপচারিতায় দুই দলের এক হয়ে লড়াই করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ট্রাম্প ও নাইজেল দুইজনই জোটগত লড়াইয়ের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘এই উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন জনসন। তবে জোটগত নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর স¤প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। পরে ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের প‚র্বনির্ধারিত স‚চি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনসন বিরোধী লেবার পার্টির নেতার সমালোচনা করে বলেছেন, টোরিদের ছাড়া অন্য যে কোনো দলকে ভোট দেওয়ার অর্থই হচ্ছে জেরেমি করবিনের প্রধানমন্ত্রীত্বের পথ সুগম করা। “অন্য যে কোনো দলের সঙ্গে চুক্তি করার বিপদ হচ্ছে তা করবিনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে,” বলেছেন তিনি। ফারাজে এবং জনসন মিলে এক ‘অদশ্য শক্তি’ হতে পারেন, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এসব বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। জনসনের কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের স‚ত্রগুলোও কনজারভেটিভ এবং ব্রেক্সিট পার্টির একসঙ্গে কাজ করার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে। করবিন প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি ব্রেক্সিট ঝুলিয়ে দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা এ টোরি নেতার। “তার (করবিন) পরিকল্পনা হচ্ছে ম‚লত ব্রেক্সিটকে আরও অনিশ্চিত ও দেরি করিয়ে দেওয়া,” বলেছেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াতে সম্মত হওয়ার পর আগামী ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের জনগণ নতুন সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছে। এবারের ভোটে জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে জনরায় বোঝা যাবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। নাইজেল ফারাজের এলবিসি শো-তে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচনা করেছিলেন। ব্রেক্সিট পার্টির শীর্ষ নেতা ফারাজ ও জনসন একসঙ্গে ‘অসাধারণ কিছু’ অর্জন করতে পারবেন বলেও পরামর্শ দেন তিনি। ফারাজে পরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তার করা ব্রেক্সিট চুক্তি থেকে সরে এসে ‘বিচ্ছেদ জোটে’ শামিল হওয়ার আহ্বান জানান; অন্যথায় ডিসেম্বরের নির্বাচনে ব্রেক্সিট পার্টি প্রতিটি আসনেই টোরিদের বিপক্ষে প্রার্থী দেবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।