পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুল্ককর পরিশোধ না করে জাল কাগজে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যের চালান খালাস করে নেয়ার ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি, পণ্য পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে বন্দর থেকে শুল্ক পরিশোধ ছাড়া জাল কাগজে ট্রাক ভর্তি পণ্য বের করে নেয়ার ঘটনায় বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের তিন কর্মীকে গতকাল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর ফলে বন্দরকেন্দ্রিক জালিয়াত চক্রের অন্য সদস্যদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ চালানটি পার করে দেয়ার ঘটনায় কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নগরীর হালিশহরের নয়াবাজারের কাউসার আলীর মালিকানাধীন ডাবল-এ ট্রেড কমিউনিকেশনের নামে চীন থেকে সাত কন্টেইনার ফাইবার সিমেন্ট বোর্ড আমদানি করা হয়। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদিব ইন্টারন্যাশনাল। এ প্রতিষ্ঠানের মালিকও কাউসার আলী। গত ৫ আগস্ট জাল কাগজ দেখিয়ে বন্দর থেকে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য খালাস শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি ট্রাক চলে যাওয়ার পর কাগজ যাচাই করে দেখা যায়, কোনপ্রকার শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই চালানটি পাচার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কাস্টম কর্মকর্তাদের সীল-স্বাক্ষর জাল করে চালানটি খালাস করে তারা। তাৎক্ষণিক সাতটি কন্টেইনার আটক করা হয়। পরে কন্টেইনার খুলে সেখানে পাওয়া যায় মূল্যবান টাইলস।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুÐ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি, বন্দর থেকে পণ্য পাচার এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সাতটি কন্টেইনার খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে ফাইবার সিমেন্ট বোর্ডের বদলে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ফিনিশড টাইলস পাওয়া গেছে।
৬০ শতাংশ শুল্কের জিপসাম ঘোষণা দিয়ে ১৫০ শতাংশ শুল্কের টাইলস নিয়ে আসায় কমপক্ষে সোয়া কোটি টাকা শুল্কফাঁকির চেষ্টা করেছে। বন্দর থেকে পালিয়ে যাওয়া টাইলস বোঝাই দুটি ট্রাক মাওয়া ফেরিঘাটে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই দুটি ট্রাক ফিরিয়ে আনার পর মালামালের চ‚ড়ান্ত তালিকা করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।