Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বান কি মুন, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ব ব্যাংক সিইও শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ৯:১৩ পিএম

বুধবার (১০ জুলাই) উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতি সংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, মার্শাল দ্বীপকুন্ঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিল্ডা হেইন, বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।

বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে তাঁরা কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের ২০ নম্বর ব্লকের হেলিপ্যাডে পৌঁছান।

এসময় অতিথিবৃন্দকে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানান,পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব শাহ কামাল, কক্সবাজরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত আরআরআরসি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাঃ শাজাহান আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আল আমিন পারভেজ সহ জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সেখানে অতিথিবৃন্দ কয়েকটি বৃক্ষরোপন করেন। সেখান থেকে তাঁরা কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ব্লকে গিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শরনার্থী কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে রোহিঙ্গা শরনার্থী আগমন, শরনার্থী ব্যবস্থাপনা, বর্তমান অবস্থান, শরনার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বহুমূখী জটিলতা, স্থানীয় জনগোষ্ঠির ক্ষয়ক্ষতি, পরিবেশের বিপর্যয় সহ সামগ্রিক অবস্থা ব্রিফ করা হয়।

অতিথিরা এখানে বাংলাদেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর বান কি মুন, প্রেসিডেন্ট হিল্ডা হেইন, সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সাথে দোভাষীর মাধ্যমে তাঁরা কথাবার্তা বলেন। বিষয়টি জেলার উর্ধ্বতন দু'জন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

পরির্দশন ও এক ঘন্টার সফর শেষে বুধবার সোয়া ৫ টার দিকে একই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে তাঁরা উখিয়া কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্প ত্যাগ করেন।
এদিকে, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন ঢাকায় জলবায়ু বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যাপারে পুরো বিশ্বের জন্য সেরা শিক্ষক হচ্ছে বাংলাদেশ। পুরো বিশ্বকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের বেশি ভাল করে শেখানোর মতো দেশ খুব কমই আছে।

বুধবার ১০ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ বিষয়ে ঢাকা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন তিনি ও নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা।

বান কি-মুন বলেন, আমরা এখানে এসেছি (জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে) খাপ খাওয়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানতে। জলবায়ু পরিবর্তনের একেবারে সম্মুখভাগে থাকায় তারাই এ বিষয়ে আমাদের সেরা শিক্ষক। জলবায়ু অভিযোজনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এ দেশ।
বুধবার সারাদিন কক্সবাজারে প্রবল বৃষ্টিপাত এর কারণে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বানকিমুনের কক্সবাজার শহরতলীর খুরুস্কুলের আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শন সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ