Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাকে ভাতে মারতে হুমকি মোদীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১০:০৯ এএম

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রীর জেহাদ অবস্থান বজায় রয়েছে৷ অনড় মোদী সরকারও৷ মানতে হবে কেন্দ্রীয় সব স্বর্ত৷ তবেই মিলবে ভর্তুকির টাকা৷ শর্ত না মিটলেই ২ টাকা কিলো দরে চালের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র৷ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল৷

কেন্দ্রীয় খাদ্য দপ্তরের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানে পস মেশিন বসানোর কাজ শেষকরতে হবে। তা না-হলে দু’টাকার চালের ভর্তুকি বাবদ রাজ্যকে কেন্দ্র যে অর্থ সাহায্য দেয়, সেটা বন্ধ করা হবে৷

খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, কেন্দ্র যদি সত্যিই দু’টাকার চালের ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তা হলে কিন্তু বড়সড় বিপাকে পড়বে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৬ কোটি ১ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় দু’টাকা কেজি দরে চাল পেয়ে থাকেন।

তার সঙ্গে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা বা খাদ্যসাথী প্রকল্পে ২ কোটি ৮১ লক্ষ মানুষ দু’টাকা কেজি দরে চাল ও গম পান। কিলো প্রতি চালের দাম পড়ে ২৩ টাকা ৮৪ পয়সা। তিন টাকা বাদে বাকিটা ভর্তুকি। কিলো প্রতি গড়ে ২১ টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। তার পরেও প্রায় দেড় টাকার মতো ভর্তুকি দিতে হয় রাজ্যকে৷

বিধানসভা ভোট আর বেশি বাকি নেই৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বিপাকে তৃণমূল সরকার৷ ভর্তুকি বন্ধ করলেও ভোটের কথা মাথায় রেখে চাল দেওয়া বন্ধ করা যাবে না৷ রয়েছে অন্যসব সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পও৷ ফলে ব্যয় বাড়বে৷ আয়ের উৎস সীমিতই৷

পরিসংখ্যান বলছে কেন্দ্রের দাবি মেনে এত অল্প সময় পস মেশিন বসানোর কাজ শেষ করা সম্ভবপর হবে না৷ রাজ্যে মোট ২০,২২৮টি রেশন দোকানের মধ্যে মাত্র ২৬৬টি-তে পস মেশিন বসেছে। তাই এই পদক্ষেপে ষড়যন্ত্ই দেখছে জোড়াফুল শিবির৷ বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে বলে মত তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের৷



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ