বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গোয়েন্দা তালিকাভুক্ত দেশের ১ নম্বর শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হাজী সাইফুল করিম (৪৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি এবং প্রশাসনের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। গুলিবিদ্ধ সাইফুল করিমকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে ৯ টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের এসআই রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন এবং কনস্টেবল মো. সোলেমান আহত হন। হাজি সাইফুল করিম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিলবনিয়াপাড়া গ্রামের ডা. হানিফের ছেলে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন প‚র্বে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে মিয়ানমার হতে টেকনাফ সদর স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে মজুদ করে। এর আগে গ্রেফতার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল করিম পুলিশকে এসব তথ্য দেয়।
ওসি জানান, তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য ৩০ মে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উক্ত স্থানে পৌঁছলে সাইফুল করিমের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৫২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এসময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সাইফুল করিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, কক্সবাজারের ব্যয়বহুল এলাকা কলাতলী পয়েন্টে হোটেলও নির্মাণ করেছেন তিনি। রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বিস্তৃত তার ব্যবসা। টেকনাফের বাসিন্দা হলেও বাস করেন চট্টগ্রামে। এস.কে. ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তিনি। গার্মেন্ট, আমদানি-রপ্তানি, কার্গো ও জাহাজের ব্যবসা রয়েছে তার। চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ারে রয়েছে তার একাধিক অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট।
কাগজে কলমে সাইফুল করিম টেকনাফ স্থলবন্দরের একজন সিএন্ডএফ (আমদানি-রফতানিকারক) ব্যবসায়ী। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কাঠ আমদানি করে সে। তবে কাঠ আনার আড়ালে এনেছে ইয়াবার চালান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে করা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সর্বশেষ তালিকায় ‘এক নম্বর ইয়াবা ব্যবসায়ী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে টেকনাফের শীলবনিয়া পাড়ার এই হাজী সাইফুল করিমকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।