বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে বহুতল ভবন তৈরীতে অনুমোদিত নকশার কোন তোয়াক্কা না করেই নিজেদের মনমতো কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে বহুল আলোচিত রানা প্লাজার মতো দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করছে। আর এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিরব ভুমিকা পালন করছেন।
জানাগেছে, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ১৮শতাংশ জমির উপর ১০তলা ভবন তৈরীর জন্য পৌরসভা থেকে অনুমোদন (প্লান) নেন জনৈক মো: সৈয়দ আলী।
কিন্তু বহুতল এ ভবনটি নির্মানে শুরু থেকে মানা হচ্ছে না অনুমোদিত নকশা। তারা নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করেই নিজেদের মনমতো করে অন্য আরেকটি নকশা তৈরী করে নির্মাণ কাজ করছে।
প্রতিবেশী বাড়ির মালিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্ত্বিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বললেও অদৃশ্য শক্তির বলে আবারও কাজ শুরু করেছেন ভবন মালিক।
সাভার পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইমাম বলেন, ভবন মালিককে নোটিশ করে ডাকানো হয়েছিল। পরে বিষয়টি আপোষ করে দেয়া হয়েছে। তবে কি ধরনের আপোষ করা হয়েছে তা তিনি বলেননি।
পৌরসভা সূত্রে জানাগেছে, অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বাড়ির সামনে সড়ক ২০ ফুট থাকতে হবে। এছাড়া চতুর পাশে ৩ফিট করে ছেড়ে ভবন তৈরীর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভবন মালিক সৈয়দ আলী নকশার তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সড়কে ২০ ফুটের জায়গায় ১৪ফুট ও পাশের ভবনের সাথে লাগিয়ে ছাদ ঢালাই দিয়ে ভববন নির্মান করছেন।
তবে ভবন মালিক সৈয়দ আলীর ছেলে মো: খোরশেদ দাবী করেন, তারা পৌরসভার প্রকৌশলীর মতামত নিয়েই ভবন নির্মান করছেন।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ইস্টেশন অফিসার লিটিন আহম্মেদ বলেন, বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে প্লান পাশ করতে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র লাগে। এজন্য ভবনের সামনে সড়কটি ৩০ফুট প্রস্থ্য হতে হবে। তিনি বলেন, কিভাবে এ ভবনের ছাড়পত্র পেল নাকি নকল ছাড়পত্র দাখিল করেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি ভবনটি পরিদর্শনে এসে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।