পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত সব সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই প্রতিরোধ করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গতকাল সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম ইউ টডের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বিকেল আড়াইটা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিকামী। এখানে বড় বড় ঘটনা ঘটে না। কারণ, এখানকার মানুষ এটা পছন্দ করেন না। তাছাড়া আমরা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এমনভাবে সাজিয়েছি যে, এমন ঘটনা ঘটছে না। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে ধর্মের বিষয়ে কাউকে প্রাধান্য দেয়া হয় না। সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে চলাচল করেন। তারা আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তবে এখানে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কারা ষড়যন্ত্র করছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে এসেছেন। তারা এক্সপার্ট নিয়ে এসেছেন। তারা তাদের ইচ্ছার কথা আমাদের বলেছেন। আমরা বলেছি সারা পৃথিবী কাউন্টার টেরোরিজমে আক্রান্ত। বাংলাদেশেও বিচ্ছিন্নভাবে দু’একটি হামলার ঘটনা ঘটছে। আমি সব সময় বলি বাংলাদেশে কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসীর দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি দুঃখজনক হত্যাকা- সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমি তাদের বলেছি, সব হত্যাকা-ের রহস্যই আমরা উদ্ঘাটন করছি। এরই মধ্যে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। হত্যাকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বা জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই।
এ সময় সাংবাদিকদের বার্নিকাট বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রতিরোধ বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি।
বার্নিকাট বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাস (কাউন্টার টেরোরিজম) মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সচিব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত সব সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাস দমনের প্রশংসা করলেও কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারকে এ ব্যাপারে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
কুটনৈতিক পাড়ার নিরাপত্তা নিয়ে বার্নিকাটের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করেছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। পোশাকি পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা নজরদারি ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। নির্বিঘেœ গাড়ি, মোটরসাইকেল ও পায়ে হেঁটেও যাতে চলাচল করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের মাধ্যমে। প্রয়োজনীয় চেকপোস্টও বসানো হয়েছে।
পরে উইলিয়াম টড রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি কোনো পক্ষই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।