পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ এভিয়েশন সেফটি দলকে কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড দিয়েছে আইসিএও। স¤প্রতি বাংলাদেশ আইসিএ কর্তৃক নির্ধারিত মান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ৭৬ ভাগ সফল হয়েছে-যেখানে সারা বিশ্বের বাস্তবায়নের বর্তমান গড় মান শতকরা ৬০ ভাগ। যখন এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বহুদেশ সারা বিশ্বের বাস্তবায়নের গড় মান শতকরা ৬০ ভাগ তখন বাংলাদেশ দলের এমন সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে।
বিগত ৪৬ বছর সেফটি রেটিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান শতকরা ৫০ ভাগের নীচে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী ও আন্তরিক দিকনির্দেশনা ও মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের এই অর্জন বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিকট একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য যে, কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডটি শুধুমাত্র সেসব রাষ্ট্রকেই প্রদান করা হয় বিগত বৎসরে যারা আইসিএও কর্তৃক নির্ধারিত মান বাস্তবায়নে এবং এর সুরক্ষায় উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ তার কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা দিয়ে আইসিএও কর্তৃক নির্ধরিত মান বাস্তবায়নে ৫০ দশমিক ৮ ভাগ হতে ৭৬ ভাগ মান অর্জন করেছে যা ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আইসিএও কর্তৃক অডিট মিশন দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। এ মান বাংলাদেশের ফ্লাইট সেফটি সেক্টরে উন্নতির একটি সুচকও বটে।
পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের বাস্তবায়নের মান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বর্তমানে কাতার ৬৪ দশমিক ৫৯ ভাগ , থাইল্যান্ড ৪১ দশমিক ৪৬ ভাগ , মালয়েশিয়া ৭৪ দশমিক ৯৭ ভাগ , মালদ্বীপ ৬৬ দশমিক ২২ ভাগ , ভারত ৫৭ দশমিক ৭০ ভাগ এবং ভুটান এর অর্জন ৩৯ দশমিক ১৪ ভাগ, যেখানে বাংলাদেশের অর্জন শতকরা ৭৬ ভাগ। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের ফ্লাইট সেফটি সেক্টরের উন্নয়ন কর্মকান্ডে দৃঢ় ভুমিকা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দক্ষ, প্রশিক্ষিত জনবল ও বিশেষজ্ঞদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশন্স) এর প্রত্যক্ষ তত্বাবধান ও নির্দেশনা এ অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে।
কানাডার মন্ট্রিলে উক্ত সম্মানজনক এওয়ার্ড গ্রহন অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জনাব মোঃ মহিবুল হক, সচিব-বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান, চেয়ারম্যান-বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, উইং কমান্ডার চৌধুরী মোঃ জিয়াউল কবীর, পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশন্স) সহ মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ অর্জনকে ধরে রাখতে এবং ভবিষ্যতে একে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।