Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রফতানি আয় কমেছে চামড়ায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দুর্দিন চলছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিমুখী খাত চামড়ায়। ধারাবাহিকভাবে কমছে এ খাতের রফতানি আয়। অথচ রপ্তানি বাড়াতে ২০১৭ সালে চামড়াকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হয়, তবে তা তেমন কাজে আসেনি। বরং আগের চেয়ে আয় আরও কমছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম দুই মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। জুলাই-আগস্টে আগের বছরের (২০১৭-১৮) প্রথম দুই মাসের তুলনায় রফতানি কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ, পূরণ হয়নি এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রাও। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ইপিবির সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরের প্রথম দুই মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ৩.৫৩ শতাংশ। আবার গেল অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে এ খাতের আয় ছিল ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার। সে হিসাবে ওই অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় খাতটির আয় কমেছে ২৬.২৬ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত চামড়া, চামড়ার তৈরি জুতা বা পাদুকা এবং চামড়াজাত পণ্য যেমন-ব্যাগ, জ্যাকেট, হাতমোজা, ওয়ালেট, বেল্ট, মানিব্যাগ ইত্যাদি রপ্তানি হয়। এ তিন উপখাতের সব কটিতেই আয় কমেছে দুই মাসে। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাত চামড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭.৪৯ শতাংশ কম এবং আগের বছরের একই সময়ের চেয়েও ৩২.৪২ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয় ছিল তিন কোটি ৩২ লাখ ডলার।
চামড়াজাত পণ্যে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪.৭০ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের বছরের একই সময়ের চেয়েও ৬২.২৮ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয় ছিল আট কোটি ৪১ লাখ ডলার।
চামড়ার পাদুকায় ১০ কোটি ১২ লাখ ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ১২ কেটি ৮৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি। তবে গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১.৫১ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয় ছিল ১৩ কোটি সাত লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর গেল অর্থবছরে পুরো সময়ে আয় হয়েছিল ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, যদিও ওই বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩৮ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও খাতটির আয় ছিল ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যের বাজার ২২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এ বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব খুবই কম। এ ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা পরিবেশগত ক্ষতি ও নেতিবাচক শ্রম পরিবেশ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চামড়া

১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ