Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সলিল সমাধি থেকে বেঁচে গেল শতাধিক রোহিঙ্গা

সাগরে নৌকা ভেঙে গেলে রাখাইনে ফিরে যেতে সক্ষম হয় তারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সলিল সমাধি থেকে বেঁচে গেল শতাধিক রোহিঙ্গা। মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সাগরে নৌকা ভেঙে গেলে রাখাইনে ফিরে যেতে সক্ষম হয় শতাধিক রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসনের জন্য নির্মিত শিবিরে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও তায় বুধবার বলেন, সোমবার সকালে নৌকাটি রাখাইন উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে আরোহীরা সাঁতার কেটে মিয়ানমারে পৌঁছায়। তিনি দাবি করেন, মোট ১০৪ আরোহীর মধ্যে অন্য দেশের নাগরিকও রয়েছে। তবে প্রত্যাবাসনে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের ওই প্রক্রিয়ায় রেখে দেওয়া হবে বলে জানান জাও তায়। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে জাও তায় বলেন, বর্ষা মৌসুমে শরণার্থী শিবিরের মানবেতর পরিস্থিতি ও রাখাইনে নতুন সহিংসতার আশঙ্কায় দুই এলাকা থেকেই বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর চেষ্টা চালায় রোহিঙ্গারা। এই যাত্রা পথে অনেকের প্রাণহানি ঘটলেও ঝুঁকি নিয়েই পালাতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। তায় আরো বলেছেন, সোমবার মালয়েশিয় ব্যক্তি মালিকানাধীন নৌকাটিতে এসব আরোহী রওনা দেয়। জাও তায় বলেন, উদ্ধার হওয়া লোকদের মংডুর না খু ইয়া শিবিরে রাখা হয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্যই এই শিবিরগুলো বানানো হয়েছে। মিয়ানমারের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধার হওয়া নৌকার আরোহীদের মধ্যে শিশু এবং নারীরাও রয়েছে। খালি পায়ে হেঁটে এসব আরোহীরা ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে মিয়ানমার পুলিশের ট্রাকে উঠছে। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও তায় বলেন, নৌকার এসব আরোহীরা মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাচারকারীদের প্রায় ২৩৫ মার্কিন ডলার করে দিয়েছে। পৌঁছে কাজে যোগ দিতে পারলে আরও ২১০০ মার্কিন ডলার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে এসব আরোহীদের। বিগত কয়েক বছরে মালয়েশিয়া পৌঁছানার চেষ্টা করে সমুদ্রে প্রাণ হারিয়েছেন বহু রোহিঙ্গা নাগরিক। ২০১৫ সালে থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে বিপুল সংখ্যক গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর এই পথে যাত্রার সংখ্যা কমে যায়। তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের মুখে আবারও বেড়েছে এই পথের ব্যবহার। এএফপি।



 

Show all comments
  • তামান্না ১৫ জুন, ২০১৮, ৬:২৭ এএম says : 0
    মিয়ানমারের জন্য খুব ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সলিল সমাধি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ