Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনাকে ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়

আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় নেতারা

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশে রূপান্তর হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম হায়েস্ট গ্রোয়িং ইকোনমির দেশ এখন বাংলাদেশ।
এটা বৈশ্বিক ভাবে প্রমাণিত। সেদিন আর দূরে নয় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। বাংলাদেশের আশীর্বাদ শেখ হাসিনা, তাকে ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আয়োজন করে দলটি।
সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে তারা (বিএনপি) নির্বাচনের কথা বলে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বহু খেলা খেলেছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনের নাম হয়েছিলো এক হোন্ডা, দুই গুন্ডা, দুই স্টেনগান। ভোটার থাকতো না পোলিং বুথে। ব্যালট বাক্সও হাইজ্যাক করে নির্বাচন করতো। তারাই আজ নির্বাচনের সততার কথা বলে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্মৃতি কম হলেও এত কম নয় যে, তাদের দুঃস্কর্মগুলো ভুলে যেতে সক্ষম হয়েছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর রহমত ছিলো, আছে এবং থাকবে। এতে এ জাতির অভ্যূদয় ঘটেছে। আল্লাহর রহমত আছে বলেই শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা চেষ্টা করেও পারে নাই। শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই দেশের সুখ্যাতি বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশকে আকাশ চুম্বী উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন। যারা দেশের অর্জনকে খাটো করে তারা দেশ প্রেমিক নয় দেশদ্রোহী। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে এক চরম মুহূর্তে তিনি শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। আসার পর বিপদসংকুল পথ। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা ধরা, প্রায় প্রতিটি মুহূর্তেই তার মৃত্যু ঘটছে। আর দলের ভিতরে ষড়যন্ত্র। এ সময়ে তিনি ভারসাম্য রক্ষা করে প্রমাণ করেছেন তিনি অকুতোভয়ী সৈনিক হিসাবে তার পিতার স্বপ্ন বান্তবায়ন করেছেন
উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্যাটেলাইট থাকা বিশ্বের ৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। নিউক্লিয়ার এগ্রিমেন্টেও আমরা রয়েছি। বিশ্বের অন্যতম হায়েস্ট গ্রোয়িং ইকোনমির দেশ এখন বাংলাদেশ। এটা বৈশ্বিক ভাবে প্রমাণিত। সেদিন আর দূরে নয় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, কোনো পত্র-পত্রিকায় খুলনার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনি কিন্তু বিএনপি করেছে। এটা তাদের অভ্যাস। বিএনপি একটি লিমিটেড দল। খুলনার নির্বাচন আবারো প্রমাণ করেছে আমরা একত্রিত থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
সভাপতিমÐলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়েনর মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তর হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমন করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা-যুদ্ধাপরাধী বিচার করেছেন। আগামীতে ২১ আগস্ট হামলারও বিচার করা হবে। বাংলাদেশের আশীর্বাদ শেখ হাসিনা, তাকে ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খুলনার জনরায়কে যারা প্রত্যাখান করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে। বিএনপির খালি কলসি। খালি কলসি নড়াছড়া করে বেশি। আমাদের ভরা কলসি, নড়াছড়া করে না। তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে মিথ্যাচার করা। তারা জনগণের কাছে নালিশ করে না। কারণ জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছে। এ কারণে তারা বিদেশীদের কাছে নালিশ করে। মিথ্যাচার ও ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাতে বাজাতে গভীর খাদে পড়বে। যা থেকে আর উঠতে পারবে না।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের ঠাই নাই। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা মানুষের দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে ভোট চেয়েছে, বলেছে আমাদের নির্বাচিত করুন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। খুলনার নির্বাচনে জনগণ আবারো প্রমাণ করেছে মানুষ বিএনপিকে চায় না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের নেত্রী জেল থেকে বের হোক মানুষ চায় না। তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সঙ্গে থাকতে চায়।
আমির হোসেন আমুর আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচটি ইমাম, সভাপতিমÐলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ