গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। লাইসন্স না থাকার কারণে গাবতলী লিংকের (আট নম্বর) পরিবহনের বাসচালক মিলনকে (২৫) একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
আদেশের পর তাকে ট্রাফিক বক্সে রাখা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ সদস্যের রেখেই ট্রাফিক্স বক্সের জানালা খুলে মিলন দিলেন দৌড়...। পরে দেখা গেলো- মিলনের পেছনে দৌড়াচ্ছেন পুলিশ।
বুধবার (০২ মে) দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মিলনের পেছন থেকে পুলিশ সদস্যরা ‘ধর, ধর’ বলে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ততক্ষণে আসামি মিলন খামারবাড়ী মোড় পার হয়ে উঠে পড়েন মিরপুরগামী একটি বাসে। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেও পালাতে সক্ষম হননি মিলন।
ওয়াকিটকি যোগাযোগের মাধ্যে একটু সামনেই পুলিশ সদস্যরা বাস থামিয়ে আটক করেন দণ্ডপ্রাপ্ত মিলনকে।
মিলন তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘স্যার আমার লাইসেন্স ছিল। পরে লাইসেন্স আনায়ে আপনাদের দেখাইলাম। কিন্তু আপনারা আমার কথা না শুইনাই সাজা দিয়া দিলেন।’
পুলিশ জানায়, চালক মিলনের সঙ্গে কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স থাকলেও সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালানো অপরাধ। তাই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিরপুর ১, ২, ১০, শ্যামলী ও কল্যাণপুর এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিসহ বিভিন্ন কারণে ১০ চালককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সর্বমোট মামলা করা হয়েছে ২৪টি, জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। এছাড়া তিনটি গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিআরটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটা আমাদের নিয়মিত অভিযান। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।