নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের বলেছেন,‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আবেদন খারিজ হওয়ায় আমি মনে করি জয় আমাদেরই হয়েছে।’ অন্য দিকে শেখ জামালের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন,‘এটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একটি অর্ন্তবর্তী আদেশ। আর এই আদেশ বাফুফে মেনে নেবে বলেই আমার আশা।’ গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপে শেখ জামাল-মোহামেডান ম্যাচের আগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন কাদের ও কাজল। মনজুর কাদের বলেন, ‘১৮ জানুয়ারি ফুটবলাররা নো ম্যানস ল্যান্ডে ছিলো না। চুক্তি অনুসারে তারা শেখ জামালেরই খেলোয়াড় ছিলো। বাফুফে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ ছিলো খেলোয়াড়দের শেখ জামাল ক্লাবে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু তারা তা করেনি। বরং ১৯ জানুয়ারি বাফুফে আমার দলের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের অন্য তিন ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছে। শেখ জামালের সাফল্যধারার রশি টেনে ধরতেই তারা এ কাজ করেছে। পরপর দুই বার আদালতে বাফুফের আবেদন খারিজ হওয়ার অর্থ শেখ জামালের জয়। আমি আমার এই সব খেলোয়াড়দের নিজের ঘরে ফিরে আসার অনুরোধ করছি। তাদের বলছি, তোমরা আমার খেলোয়াড় ছিলে, এখনো আছো। কোর্টের রায় মেনে নিয়ে তোমরা ক্লাবে ফিরে আসো। শেখ জামাল কর্তৃপক্ষ তোমাদের সাদরে গ্রহণ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মনজুর কাদের বাফুফের বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘৩০ এপ্রিল বেশী দূরে নয়। এর আগেই তোমরা পদত্যাগ করে বাফুফে ভবন ছেড়ে চলে যাও। আর তা যদি না করো ওইদিনই তোমাদের ঝাড়– পেটা করে বের করা হবে।’ মনজুর কাদের আরো বলেন,‘দু’মেয়াদে বাফুফের বর্তমান কমিটির কর্মকর্তারা ১০০ কোটি টাকা চুরি করেছে। তারা চোরাই ইজিএম পাস করতে চট্টগ্রাম গেছে। আমি তাদের সঙ্গে নেই বলে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে বাফুফে কর্তারা। তারা দেশের ফুটবলের উন্নতি চায় না। নিজের পকেট ভারী করাই তাদের মুল লক্ষ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, প্লিজ আপনি বাফুফের অসাধু কর্মকর্তাদের হাত থেকে দেশের ফুটবলকে বাঁচান। তাদের বের করে ফুটবল উন্নয়নে যারা কাজ করবেন তাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে দেন। যেটা আপনি দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে।’
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘বাফুফে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে এই রিট পিটিশনের নিষ্পত্তি চেয়েছিল। কিন্তু আদালত এতেও সায় দেননি। পরবর্তী কার্যক্রম যে আদালতে প্রথম মামলা হয়েছিল সেই আদালতে শুরু হবে।’ বাফুফে এই আদেশ মানতে বাধ্য কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি নৈতিকতার প্রশ্ন। আইনই পরবর্তীতে এ প্রশ্নের উত্তর দেবে।’
এদিকে আইন না মানায় এএফসি গতকালই শেখ জামালকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে। এ প্রসঙ্গে জামাল সভাপতি মনজুর কাদেরের কথা,‘ওয়ার্ক শপে হাজির না হওয়াতে জরিমানা হয়েছে। তবে বাফুফে আমাদেরকে প্রক্রিয়াটা জানায়নি। এটি তাদের ষড়যন্ত্র। আর এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে স্বয়ং বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।