পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালীর কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে বিএনপি। আনন্দ র্যালীতে বিএনপি নেতা-কর্মীর পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীর হাজার হাজার জনতা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। এই দিনে হারানো গণতন্ত্র ফিরে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের শপথ গ্রহণ করেছে দলটি।
গতকাল শনিবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতার বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচী শুরু করে বিএনপি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারে স্মৃতিসৌধে দলীয় নেতাদের নিয়ে ফুল দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি দলের নেতাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের মিলাদ মাহফিলেও অংশ নেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী একটি দল। স্বাধীনতার ৪৫ বছর হতে চলেছে। এখন সময় এসেছে নতুন সমাজ ও নতুন দেশ গড়ার জন্য বেগম জিয়া যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার। এদিকে বিকেলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী বের করে বিএনপি। বিকাল সাড়ে ৩টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই র্যালী শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর দিয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। নয়া পল্টনের সামনে র্যালী শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে সকলকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, ৪৫ বছর পরে এখনো জাতিকে গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার করতে হচ্ছে। ছেলেরা প্রাণ দিচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য। মা-বোনদের নিরাপত্তা নেই। গোটা সমাজে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। আজ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে যে চেতনা ও গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছিল, আজকে তা অনুপস্থিত। সেই চেতনা, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকারকে ফিরে পাওয়ার জন্য আজ সকলকে ছোট-খাটো ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
র্যালীতে মহানগর বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, ডক্টরস এসোসিয়েশন (ড্যাব), ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন (এ্যাব), এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেস্টুন ও লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে অংশ নেয়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি হাতে কর্মীরা ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও সালাম, লও সালাম’, ‘রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতা, রক্ত দিয়ে রাখবো স্বাধীনতা’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ পায়ে হেঁটে কর্মীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন সুলতানা, রাজীব আহসানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। র্যালীর অগ্রভাগ যখন মালিবাগের মোড়ে তখন নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে মিছিলে শেষ ভাগ অতিক্রম করছিলো। মালিবাগে শোভাযাত্রা শেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, বাকশালী শাসন চলছে। আজ কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে নিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে শরিক হতে হবে। এটাই হোক স্বাধীনতা দিবসের আজকের শপথ।
এর আগে সকালে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোরে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।